দেয়াল ভাঙ্গার গান is here

25 November 2011

একটা গান দাও

ব্যান্ড: অর্থহীন

আমাকে একটা গান দাও
যে গানে থাকবে তুমি একা,
প্রকৃতির মাঝে বসে বসে তোমার সব ভাবনা।

আমি আসব গানের দ্বিতীয় প্যারাতে
নদীর ধার দিয়ে,
পাগলা হাওয়া আছড়ে পড়বে তোমার চুলে
মুচকি হেসে আলতো ভাবে।

একটা গান দাও
শুধু তোমার আমার
যা চলবে সারা জীবন,
একটা গান দাও
যেথা পিয়ানো গিটার বাজবে
শুধু সেই গানের তালে।

আমাকে একটা গান দাও
যে গানে থাকবে তুমি,
সুরটা হবে নদীর মত
আঁকাবাকা আর নীল।

আমি আসব গানের দ্বিতীয় প্যারাতে
নদীর ধার দিয়ে,
জোসনার আলো পড়বে তোমার চোখে
যেথা যাব আমি হারিয়ে।

একটা গান দাও
শুধু তোমার আমার
যা চলবে সারা জীবন,
একটা গান দাও
যেথা পিয়ানো গিটার বাজবে
শুধু সেই গানের তালে।

একটা গান দাও
শুধু তোমার আমার
যা চলবে সারা জীবন,
একটা গান দাও
যেথা পিয়ানো গিটার বাজবে
শুধু সেই গানের তালে।

একটা গান দাও
শুধু তোমার আমার
যা চলবে সারা জীবন,
একটা গান দাও
যেথা পিয়ানো গিটার বাজবে
শুধু সেই গানের তালে।

একটা গান দাও
শুধু তোমার আমার
যা চলবে সারা জীবন,
একটা গান দাও
যেথা পিয়ানো গিটার বাজবে
শুধু সেই গানের তালে।

তুমি আসলে আবার অন্য রূপে

ব্যান্ড: অর্থহীন


তুমি আসলে আবার অন্য রূপে,
তুমি বাসলে ভালো আমারে।
তুমি আসলে আবার অন্য রূপে,
তুমি বাসলে ভালো আমারে

আমার এ গান শুধু তোমায় নিয়ে,
আমার এ মন শুধু তোমায় ভাবে।
তবুও কেন তুমি কাঁদো,
এইতো আমি চেয়ে দেখ।

তুমি নিলে আমায় আপন করে,
এক রাশ ভালোবাসা বুকে নিয়ে।
তুমি নিলে আমায় আপন করে,
এক রাশ ভালোবাসা বুকে নিয়ে।

আমার এ গান শুধু তোমায় নিয়ে,
আমার এ মন শুধু তোমায় ভাবে।
তবুও কেন তুমি কাঁদো,
এইতো আমি চেয়ে দেখ।

আমিতো তোমারই জন্য
গেয়ে যাব গান,
আমার এই হৃদয়ের মাঝে
শুধু তোমার নাম।

আমিতো তোমারই জন্য
গেয়ে যাব গান,
আমার এই হৃদয়ের মাঝে
শুধু তোমার নাম।

আমার এ গান শুধু তোমায় নিয়ে,
আমার এ মন শুধু তোমায় ভাবে।
তবুও কেন তুমি কাঁদো,
এইতো আমি চেয়ে দেখ।

তুমি আসলে আবার অন্য রূপে,
তুমি বাসলে ভালো আমারে।

ফিটাসের কান্না

ব্যান্ড: অর্থহীন

বেঁচে ছিলাম জন্মাবার স্বপ্ন নিয়ে
মিশে ছিলাম তোমার রক্তস্রোতে,
আলোর পথে হোঁচট খেয়ে দেখি
হারিয়ে গেছি আধাঁরে
কালো জলে…..কালো জলে।

বেঁচে ছিলাম জন্মাবার স্বপ্ন নিয়ে
মিশে ছিলাম তোমার রক্তস্রোতে,
আলোর পথে হোঁচট খেয়ে দেখি
হারিয়ে গেছি আধাঁরে
কালো জলে…..কালো জলে।

ঝরবো আমি নোনা জলে
বৃষ্টি হয়ে তোমার গোপন অবসরে,
অলস চোখে ভাঙ্গবো আমি
ভোরের ঐ শিশির বিন্দু
কষ্টে গড়া সূর্যের আর্তনাদে….আর্তনাদে।

কষ্টের এই নষ্ট সময়ে
ছায়ার মাঝে বন্দী এ হৃদয়,
মায়ার শূন্যতায় লুকাবো তোমায়
কষ্টে গড়া আলোর আর্তনাদে….আর্তনাদে।

ঝরবো আমি নোনা জলে
বৃষ্টি হয়ে তোমার গোপন অবসরে,
অলস চোখে ভাঙ্গবো আমি
ভোরের ঐ শিশির বিন্দু
কষ্টে গড়া সূর্যের আর্তনাদে….আর্তনাদে।

ভালোবাসার তীব্র জোসনা দিয়ে
পারোনি তুমি মমতায় বাঁধতে,
নিষ্পাপ আমার প্রস্থান লিখা থাকবে না
সাজানো কোন এপিটাফে…………

কৃষ্ণচূড়া

ব্যান্ড: অর্থহীন

ভ্যান গগের ছবি
ভিভালদির সুর,
অলিভার স্টোনের মুভি
আর আমার পাকা চুল।

রান্নাঘরের নিভানো চুলা,
তোমার চুলে কৃষ্ণচূড়া।

লা লা লা লা

সাদা রং এর নতুন গাড়ি,
একটি পোড়া বাড়ি।


এশারের ছবি
মোৎসার্টের সুর।
ত্যারেন্তিনোর মুভি
আর আমার পাকা চুল।

আমার কাঁধে হালকা ঝোলা,
তোমার চুলে কৃষ্ণচূড়া।

লা লা লা লা
লা লা লা লা

অদ্ভূত কিছু নিয়ম
অদ্ভুত কিছু জীবন,
তবুও নতুন এক জীবন্ত সুরে
দুঃখ থেকে বহুদূরে,
অতৃপ্ত স্বত্তা খুঁজে ফেরে
সকল উন্মাদনা ছেড়ে।

লা লা লা লা
লা লা লা লা

লাল রং এর নতুন গাড়ি,
একটি ভাঙ্গা বাড়ি।

তবুও বৃষ্টি ঝরা বিকেল শেষে
সন্ধ্যে নামার একটু আগে,
তৃষ্ণার্ত মন খুঁজে ফেরে
সকল বাঁধা ভেঙ্গে দিয়ে।

লা লা লা লা

ভ্যান গগের ছবি
ভিভালদির সুর,
অলিভার স্টোনের মুভি
আর আমার পাকা চুল।

রান্নাঘরের নিভানো চুলা,
তোমার চুলে কৃষ্ণচূড়া।

লা লা লা লা

বয়স

ব্যান্ড: অর্থহীন

বয়স তোমার শৈশব ছেলে
সুন্দর এই সকাল,
ধুলোয় তোমার বালুর রাজ্য
ভুল শব্দ গান।

পকেটে তোমার ভাংতি পয়সা
মনের ইচ্ছা লজেন্স,
তোমার জীবন মিস্টি বড়
স্বপ্ন আজব দেশ।

বয়স তোমার কৈশোর ছেলে
ছায়া তোমার বিকাল,
আকাশ তোমার ঘুড়ির রাজ্য
চেনা সুর গান।

পাঁচ তোমার ছেঁড়া টাকা
হাফ প্লেট ঝাল,
তোমার জীবন টকে ভরা
চিঠি নীল লাল।

তোমার সাথে বালুর রাজ্য
তোমার সাথেই ঘুড়ি,
তোমার সাথে চেনা সুর
তোমার সাথেই চিঠি,
তোমার কাছেই গল্প বলা
তোমার কাছেই শুনি,
তোমায় নিয়ে লেখা গানে
ফিরে ফিরে আসি।

বয়স তোমার যৌবন ছেলে
গভীর তোমার রাত,
অচেনা তোমার রাজ্য
অর্থহীন গান।

দু হাত তোমার ভীষণ খালি
নোনতা বিস্কুট চা,
তোমার জীবন এলোমেলো
মিথ্যা আশায় গড়া।

তোমার সাথেই বালুর রাজ্য
তোমার সাথেই ঘুড়ি,
তোমার সাথে চেনা সুর
তোমার সাথেই চিঠি,
তোমার কাছেই গল্প বলা
তোমার কাছেই শুনি,
তোমায় নিয়ে লেখা গানে
ফিরে ফিরে আসি।

তোমায় আমি চিনি ছেলে
অনেক দিনের চেনা,
তোমার সাথে শেষ রাত্রি
আর হবে না দেখা।

তেপান্তর

ব্যান্ড: অর্থহীন

তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে অনেক দূরে,
বসে আছি আমি একাকী তোমায় ছেড়ে।
মনে পরে শুধু তোমারই কথা,
তাই গাইছি আমি এ গান তোমায় নিয়ে!

মনে পরে সেই মিষ্টি সকাল মনে জাগে মোর আশা,
আসবে তুমি আমার কাছে নিয়ে ভালোবাসা!
মনে পরে যায় তোমার হাতের স্নিগ্ধ সেই স্পর্শ,
মনে পরে তুমি যে আমায় কত ভালোবাসো!

তাই আমি গাইছি এ গান তোমায় নিয়ে,
তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে নীল জোস্নাতে!

রাত যে শেষ হয়ে আসে তোমার কথা ভেবে,
মনের এই অস্থিরতা দূর হয় না যে।
ভাবছি আমি তোমার কথা ভাবছি একা বসে,
ভাবছি আমি কখন পাবো তোমায় খুব কাছে।

তাই আমি গাইছি এ গান তোমায় নিয়ে,
তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে নীল জোস্নাতে!

তারার পানে

ব্যান্ড: অর্থহীন

তারার পানে চেয়ে দেখো আজ,
শত দুঃখ আর অভিশাপ,
হারিয়ে গেছে কোন আঁধারে!
সুখের স্বপ্নগুলো ফিরে এসেছে,
প্রভাতের এই সুরে,
চেয়ে দেখো নীলাকাশে,
রংধনু চেয়ে আছে তোমার পানে,
হাতছানি দিয়ে ডাকছে তোমাকে!

সুখস্মৃতি ভুলে কেনো?
ফিরে যাও দুখের শৃঙ্খলে?
শান্ত নদী বলে না কি তোমায়?
ফিরে এসো এই নিসর্গ উত্সবে।

আমার এই গান নিয়ে যাবে,
তোমায় এক নতুন সুরে।
নীলাকাশের সাদা মেঘের মাঝে,
হারিয়ে যাবে তোমার সব দুঃখ যে!

তোমাআআআআআআর এই হৃদয় কাঁদে কেনো শুধু শুধু
তোমাআআআআআআর এই হৃদয় কাঁদে কেনো শুধু শুধু

ওই পাখির গানে শোনো সুখেরই ছোঁয়া
দেখো কেটে গেছে রাত আর আঁধারেরই ছায়া!

তোমাআআআআআআর এই হৃদয় কাঁদে কেনো শুধু শুধু
তোমাআআআআআআর এই হৃদয় কাঁদে কেনো শুধু শুধু
তোমাআআআআআআর এই হৃদয় কাঁদে কেনো শুধু শুধু
তোমাআআআআআআর এই হৃদয় কাঁদে কেনো শুধু শুধু

আকাশের পানে চেয়ে

ব্যান্ড: অর্থহীন

আকাশের পানে চেয়ে দেখো
কত সুর ভেসে বেড়ায়,
তবুও তোমার গানে কেন
একটু সুর ফিরে তাড়ায়।

ছোট্টবেলার হারানো দিনগুলো মনে পরে,
তোমার সেই ভালোবাসা হারিয়ে গেছে কোন গগনে?

কেন সেই প্রেমেরা আসে না?
কেন তার দেখা তুমি পাও না?

ও ও ও

রাতের পাখিরা বলে ওঠে,
যাবে কি সেই স্বপ্নপুরীতে?
রাতের পাখিরা বলে ওঠে,
যাবে কি সেই স্বপ্নপুরীতে?
তোমায় এ গান শুনিয়ে নতুন কোন এক সুরে।

কেন সে ফিরে আসে না?
কেন তার দেখা তুমি পাও না?

ও ও ও

ভোরের আলোতে
একটি পাখির ডাকে,
যদি চোখ মেলে চাও
মনের গহিনে।

তবে শুনতে পাও সেই সুর!
তবে শুনতে পাও সেই সুর!

চাইতে পারো – ২

ব্যান্ড: অর্থহীন

চাইতে পারো আবার সেই জোছনা
ঘরের সিলিংয়ে সন্ধ্যাতারাটা,
চাইতে পারো সারারাত আর সারাদিন
হবে না যে কখনো আর লোডশেডিং।

চাইতে পারো আমার ঘাড়ে পা রেখে
আকাশটা ছোয়ার স্বপ্ন দেখতে,
চাইতে পারো শুনতে নতুন এক গান
করব না যেখানে তোমায় আর অপমান।

এক মুঠো গোলাপ আর ঐ নীল আকাশ
আকাশের ঐ চাঁদ অথবা এই রাত,
কান্না ভেজা চোখ, অথবা মিষ্টি হাসি
যতই দেখাও আমাকে পাবেনা কিছুই তুমি।

তোমার জন্য নয় আমার কোন কিছুই,
বলেছিলাম অনেক আগে ভুলে গেছ কি!

চাইতে পারো তুমি G-series থেকে
ফুয়াদ ফিচারিং আলবাম ছাড়তে,
চাইতে পারো চেষ্টা করে দেখতে
কে আছে আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে।

চাইতে পারো তুমি হয়ে যেতে আজকে
FM চ্যানেলের হিট কোন RJ,
চাইতে পারো নতুন এক Deo স্প্রে
মনের দূর্গন্ধটা দূর করতে।

এক মুঠো গোলাপ আর ঐ নীল আকাশ
আকাশের ঐ চাঁদ অথবা এই রাত,
কান্না ভেজা চোখ অথবা মিষ্টি হাসি
যতই দেখাও আমাকে পাবেনা কিছুই তুমি।

তোমার জন্য নয় আমার কোন কিছুই,
বলেছিলাম অনেক আগে ভুলে গেছ কি!

এক মুঠো গোলাপ আর ঐ নীল আকাশ
আকাশের ঐ চাঁদ অথবা এই রাত,
কান্না ভেজা চোখ অথবা মিষ্টি হাসি
যতই দেখাও আমাকে পাবেনা কিছুই তুমি।

তোমার জন্য নয় আমার কোন কিছুই,
বলেছিলাম অনেক আগে ভুলে গেছ কি!

যদি কোনদিন

ব্যান্ড: অর্থহীন

যদি কোন দিন হঠাৎ করে পড়ে মনে
আমার লেখা গানগুলো যা ছিল তোমার জন্যে,
যদি ভুলের বশে শুনতে ইচ্ছে করে
আমার গাওয়া গানগুলো যা ছিল তোমায় নিয়ে।

নিঝুম রাতে যখন পৃথিবী ঘুমিয়ে
তুমি মনের ভেতর শুনো গান চুপটি করে,
কেউ জানবে না যে ঘুমন্ত শহরে
তুমি ভাবছো বসে আমার কথা প্রতিটি মূর্হুতে।

আকশে তারা হয়ে দেব তোমায় আলো
যখন চারিদিক অমাবস্যায় কালো,
যদি মনের দুচোখ বেয়ে আসে চোখের জল
মুছে দেব শুধু স্মৃতি হয়ে মনের কষ্ট সব।

নিঝুম রাতে যখন পৃথিবী ঘুমিয়ে
তুমি মনের ভেতর শুনো গান চুপটি করে,
কোন এক সকালে কোন দূরদেশে
তুমি দেখবে আমার পায়ের চিহ্ন ঐ শুভ্র তুষারে।

আসবো ফিরে
তোমার কাছে,
চোখের ঐ জল
মুছে দিতে।

নিঝুম রাতে যখন পৃথিবী ঘুমিয়ে
তুমি মনের ভেতর শুনো গান চুপটি করে,
কেউ জানবে না যে ঘুমন্ত শহরে
তুমি ভাবছো বসে আমার কথা প্রতিটি মূর্হুতে।

আসবো ফিরে
তোমার কাছে,
চোখের ঐ জল
মুছে দিতে।

আসবো ফিরে
তোমার কাছে,
চোখের ঐ জল
মুছে দিতে।

দুঃসময়ের সাধ্য কি

ব্যান্ড: অর্থহীন

চলে গেলে তুমি মিথ্যে বলে-
আমায় একা ফেলে।
ভেবেছিলে আমি ধ্বংস হবো-
কষ্ট আর অভিমানে।
চলে গেলে বড় অসময়ে-
ভেবে নিঃশেষ আমাকে।
সুসময় তখনো আসতে বাকি,
তা তুমি জানবে কিভাবে?

কষ্টের সাধ্য কি আমার অশ্রু ঝরাবে?
দুঃসময়ের সাধ্য কি আমায় কষ্টে ভাসাবে?
আমি, শক্ত হাতে জীবন তরীর ওই হাল ধরেছি,
দেখো, তোমাকে ছাড়াও একাকী পথ ধরে এগিয়ে চলেছি!

দুঃসময়ের ঘন্টাধ্বনি শুনে আর্তনাদ করে কেঁদেছি,
আমি অনুনয় বুকে নিয়ে আর শুধু চোখ মেলে তোমাকেই পাশে চেয়েছি।
সুসময়ের স্বপ্ন নিয়ে তুমি ডানা মেলেছিলে দূর আকাশে।

কষ্টের সাধ্য কি আমার অশ্রু ঝরাবে?
দুঃসময়ের সাধ্য কি আমায় কষ্টে ভাসাবে?
আমি, শক্ত হাতে জীবন তরীর ওই হাল ধরেছি,
দেখো, তোমাকে ছাড়াও একাকী পথ ধরে এগিয়ে চলেছি!

কষ্টের সাধ্য কি আমার অশ্রু ঝরাবে?
দুঃসময়ের সাধ্য কি আমায় কষ্টে ভাসাবে?
আমি, শক্ত হাতে জীবন তরীর ওই হাল ধরেছি,
দেখো, তোমাকে ছাড়াও একাকী পথ ধরে এগিয়ে চলেছি!

ইচ্ছে করে

ব্যান্ড: অর্থহীন

অরুনোদয়ের অগ্নিসাক্ষী তুমি-
নরম ঘাসের পেলবতা,
সদ্য ফোঁটা গোলাপ কলির মতো-
কোমল তোমার সজীবতা!
তুমি যেন মোমের মূর্তি হয়ে,
রয়েছ আমার হৃদয়ে।
ছুঁয়ে দেখতেও দ্বিধা হয় তোমায়,
যদি ভেঙ্গে যাও সেই ভয়ে এ এ এ এ এ এ!

ইচ্ছে করে শুধু দেখি তোমায় দুচোখ ভরে,
রংধনুর সাতটি রঙে সাজিয়ে নেই আপন করে!
শুধু দূর থেকে, দূর থেকে!

সাগরের নীল জলের মতো প্রশান্ত ওই মুখচ্ছবি,
যেন পটে আঁকা বিমূর্ত তুমি অনন্যা প্রিয়দর্শিনী ই ই ই ই ই ই ই ই ই !

ইচ্ছে করে শুধু দেখি তোমায় দুচোখ ভরে,
রংধনুর সাতটি রঙে সাজিয়ে নেই আপন করে!
শুধু দূর থেকে, দূর থেকে!

প্রতিমার ছবি হয়ে তুমি অধরা আমার কাছে,
দেবী হয়ে এসেছ তুমি কেড়েছ আমার হৃদয়টাকে এ এ এ এ এ এ!

ইচ্ছে করে শুধু দেখি তোমায় দুচোখ ভরে,
রংধনুর সাতটি রঙে সাজিয়ে নেই আপন করে!
শুধু দূর থেকে, দূর থেকে!

যখন ওই নীল আকাশটা

ব্যান্ড: অর্থহীন

যখন ওই নীলাকাশটা ঘুমিয়ে পরে,
তখন তোমার পথ চলা শুরু হয় যে!
হেঁটে যাও তুমি মেঘের পথ ধরে,
পুরোনো সেই স্মৃতি ফিরে পেতে।

ছোট্টবেলায় মেঘের সাথে তুমি,
সবুজ বন আজ কেন মরুভূমি!
হয়তোবা কেউ ডাকে তোমায় পেছন থেকে,
তোমার সব ব্যাথাগুলো মুছে দিতে!

সেতো কেঁদে যাবে বুকে নিয়ে শোক,
তাই বলে অশ্রুসিক্ত কেন তোমার চোখ!
চারিদিকে আঁধার ঘনিয়ে সে আসবে সেথায়,
তাই বলে কেঁদো না তুমি তার কথায়!

যখন ওই নীলাকাশটা ঘুমিয়ে পরে,
তখন তোমার পথ চলা শুরু হয় যে!
হেঁটে যাও তুমি মেঘের পথ ধরে,
পুরোনো সেই স্মৃতি ফিরে পেতে।

সেতো কেঁদে যাবে বুকে নিয়ে শোক,
তাই বলে অশ্রুসিক্ত কেন তোমার চোখ!
তোমার মনে তো এখন মেঘের টান,
তাই তো আমি গেয়ে যাই মেঘেরই গান!
মেঘেরই গান!
মেঘেরই গান!
মেঘেরই গান!
মেঘেরই গান!
মেঘেরই গান!

আমি সুখ চাইনা

ব্যান্ড: অর্থহীন


আমি সুখ চাই না শুধু চাই তোমার ভালোবাসা,
নেমে যাবে যখন সূর্যটা পাশে থাকে যেন তোমারই ছায়া!
আমি সুখ চাই না শুধু চাই তোমার ভালোবাসা,
নেমে যাবে যখন সূর্যটা পাশে থাকে যেন তোমারই ছায়া!

ধান শালিকেরা যদি যায় ভুলে নদীর স্রোতধারা,
ভেবোনা তুমি ও বন্ধু আমার আমি তুমি হারা!
আহা!

ওই আকাশের মাঝে পাখিগুলো হারিয়ে যায় যাক না,
ওই প্রভাতপরীর আগমনে জোনাকিরা হারাক না!
আমরা যাবো এগিয়ে,
সব বাধা পেরিয়ে,
নতুন এক সুরের জগতে,
যদি থাকো তুমি পাশে এ এ এ এ!

আমি সুখ চাই না শুধু চাই তোমার ভালোবাসা,
নেমে যাবে যখন সূর্যটা পাশে থাকে যেন তোমারই ছায়া!
আমি সুখ চাই না শুধু চাই তোমার ভালোবাসা,
নেমে যাবে যখন সূর্যটা পাশে থাকে যেন তোমারই ছায়া!

ধান শালিকেরা যদি যায় ভুলে নদীর স্রোতধারা,
ভেবোনা তুমি ও বন্ধু আমার আমি তুমি হারা!
আহা!

বুক ভরা ভালোবাসা

ব্যান্ড: অর্থহীন

যখন চারিদিকে নেমে আসে আঁধার,
চলে এসো তুমি ভুলে মেঘের দুয়ার।
কেউ জানবে না তোমার এই ফিরে আসা,
শুধু আমি দাঁড়িয়ে থাকবো নিয়ে বুক ভরা ভালোবাসা!

যখন সুরের মাঝে আমি তোমায় খুঁজি,
কোন এক অজানা ভুবনে হারিয়ে যাই আমি।
কেউ বোঝে না আমার এই সুরের ভাসা,
শুধু আমি গেয়ে যাই নিয়ে বুকভরা ভালোবাসা।

আমার গানের ভাষায় যে শুধু তোমারই ছায়া,
আমার বুকের মাঝে যে শুধু তোমারই কথা।
মন শুধু বলে যায় তোমারই কথা যে,
হয়তোবা তুমি আমার এই গান শুনবে এ এ এ এ এ

কেউ জানবে না তোমার এই ফিরে আসা,
শুধু আমি দাঁড়িয়ে থাকবো নিয়ে বুক ভরা ভালোবাসা!

কেউ জানবে না তোমার এই ফিরে আসা,
শুধু আমি দাঁড়িয়ে থাকবো নিয়ে বুক ভরা ভালোবাসা!

স্বপ্নগুলো তোমার মতো

ব্যান্ড: অর্থহীন

তুমি মানে তোমার চলে যাওয়া
তোমার জন্য সব ভুলে থাকা
জীবন মানে বাঁচার অভিনয়
মৃত্যু মানে তোমায় না পাবার ভয়

তোমার আশা কতটা কাছে টানে
আমার ছায়া যতটা আঁধার আনে
কাঁচের দেয়াল ভাঙার মত
তোমায় ভাঙি ইচ্ছে মত
আমার কেন ভালো লাগে না
কোন কিছু তোমার মত

যখন তুমি একা থাকো
আগুন জ্বলে আলোর মতন
নিজের কাছেই লুকিয়ে রাখি
স্বপ্নগুলো তোমার মত

আমার শরীর জুড়ে বৃষ্টি নামে
অভিমানের নদীর তীরে
শুধু তোমায় বলতে ভালবাসি
আমি বারেবার আসবো ফিরে

আমার শরীর জুড়ে বৃষ্টি নামে
অভিমানের নদীর তীরে
শুধু তোমায় বলতে ভালবাসি
আমি বারেবার আসবো ফিরে

নির্বোধ

ব্যান্ড: অর্থহীন

নিঝুম রাতে ছাদের কোনে
বসে থাকি আমি,
মনের মাঝে ঘুরতে থাকে
সুখের সব স্মৃতি।

আকাশ ভেঙ্গে পড়ছে ছাদে
মিষ্টি চাঁদের আলো,
জোছনাটা দেখলে যে
সবই লাগে ভালো।

হে নির্বোধ তুমি যে এখনো একটি শিশু,
ছেড়া কাঁথায় ক্ষুধার্ত শরীরে ভালো লাগে না কিছু।
ভরা পেটে নরম বিছানায় স্বপ্ন দেখো তুমি,
পূর্ণিমার চাঁদটা আমার কাছে ঝলসানো এক রুটি।

বুকের মাঝে লুকিয়ে আছে
আমার ভালোবাসা,
ছড়িয়ে দেবো আকাশটাতে
নতুন এক আশায়।

কোন একদিন আমার সামনে
এসে দাঁড়াবে সে,
বলবে সে ভালোবাসি
মুচকি হেসে।

তোমার কথা শুনে আমার যে হাসি পায়,
কি দেখেছো তুমি নির্বোধ এই ভালোবাসায়।
ভালোবাসা যে আসলে প্লাস্টিকের ফুল,
বর্ণ আছে গন্ধ নেই করো না এ ভুল।

আমার আছে সুরের জগৎ
হারাই আমি সেথায়,
নতুন গান নতুন সুর
আমার গানের খাতায়।

সুর দিয়েই আমার জগৎ
আমি ভরিয়ে রাখি,
দুঃখ আর অস্থিরতা
দুর করে ফেলি।

সুরের জগৎ নিয়ে অহংকার নির্বোধ তুমি,
এ জগতেও আছে ভন্ডামি আছে রাজনীতি।
মনের মাঝে অনেক কথা আমি বলতে পারিনি,
নেতাদের এই নোংরামিতে হারিয়ে গেছি আমি।

তোমার এই হতাশা
ভুলে গিয়ে অন্যভাবে,
চল দেখি এই পৃথিবীটাকে।

তোমায় দেখে মনের মাঝে
আজ আমার প্রশ্ন জাগে,
তবে কি সবই ভুল।

নির্বোধ….

প্রবাস থেকে

ব্যান্ড: অর্থহীন

একটি ছেলে রাতের ঘুমটা ফেলে
করছে স্মৃতি রোমন্থন,
বুকের মাঝে তার হাহাকার
আর চাপা ক্রন্দন।

কতদিন দেখিনা তোমায়
কতদিন দেখিনা,
কতদিন দেখিনা তোমায়
আমার বাংলাদেশ,
কতদিন দেখিনা।

একটি মেয়ে কোন এক দুরদেশে
যাচ্ছে সকালে অফিসে,
হয়না যে তার আর ছাদে বৃষ্টিতে ভেজা
খাওয়া হয় না যে আমের আচার।

কতদিন দেখিনা তোমায়
কতদিন দেখিনা,
কতদিন দেখিনা তোমায়
আমার বাংলাদেশ,
কতদিন দেখিনা।

একজন মানুষ ফিরছে বাড়ি
সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনি,
শোনে না যেন সে অনন্তকাল
ভোরের সেই আজানের ধ্বনি।

মনে পরে তার গাঁয়েরই কথা
শীতের রাতে আগুন পোহানো,
ভোরবেলায় খেজুর গাছে
বন্ধুরা মিলে রসচুরি করার আনন্দ।

কতদিন দেখিনা তোমায়
কতদিন দেখিনা,
কতদিন দেখিনা তোমায়
আমার বাংলাদেশ,
কতদিন দেখিনা।

আমার প্রতিচ্ছবি

ব্যান্ড: অর্থহীন

মুখটা তুলে আকাশটাতে
দেখ আরেকবার,
তোমার সাথে আছি আমি
যে চিরকাল।
জোছনার আলো যখন
তোমার গায়ে পড়ে,
আমি তখন থাকি তোমারই
পাশে পাশে।

মনটা খারাপ করে যখন
তুমি একা থাকো,
ভেবো আমি শোনাই তোমায়
মজার কোন গল্প।
চোখের পানি মুছে ফেলে
ভেবো একটুখন,
তোমার মাথায় হাতটা বুলাই
যখন তখন।

রাতের আকাশ ভরা তারা
হয়তো বা চলে যাবে,
থাকবো হয়ে আমি শুকতারা।
শীতের সকাল গাছের পাতা
হয়তো বা ঝরে যাবে,
থাকবো হয়ে আমি নীল আকাশ।

দুপুর বেলায় কবিতার
বইটা পড়তে বসে,
চোখের দৃষ্টি যখন তোমার
ঝাপসা হয়ে ওঠে।
ভেবো আমি পাশেই আছি
তোমার পানে চেয়ে,
কবিতাটায় সুর বসাচ্ছি
গানের মত করে।

ভোরের আলোয় পাখির ডাকে
ঘুমটা ভাঙে যখন,
বাগানটাতে হাঁটার সময়
আমায় ভেবো তখন।
ঘাসের মাঝে শিশির কনায়
তাকিয়ে দেখ তুমি,
আছে সেথায় তোমার সাথে
আমার প্রতিচ্ছবি।

রাতের আকাশ ভরা তারা
হয়তো বা চলে যাবে,
থাকবো হয়ে আমি শুকতারা।
শীতের সকাল গাছের পাতা
হয়তো বা ঝরে যাবে,
থাকবো হয়ে আমি নীল আকাশ।

নীল আকাশ।

গান গেয়ে যায় একটি ছেলে

ব্যান্ড: অর্থহীন

কোন এক নিঝুম রাতে,
ঝাউ বনে চাঁদের আলোতে।
গান গেয়ে যায় একটি ছেলে,
একরাশ বেদনা বুকে নিয়ে।
তার সেই গানতো কেউ শোনেনা,
হতাশার কথাতো কেউ জানেনা!
তবুও তার আশার প্রদীপ তো নেভে না!

যদি ফিরে পায় সেই হারানো দিন!

কোন এক নিঝুম রাতে,
জীবনের অপর এক প্রান্তে।
বসে থাকে একটি মেয়ে,
ছেলেটির গান বুকে নিয়ে।
ফিরে যেতে চায় সে সেই জগতে,
চাঁদের আলোর সেই ঝাউ বনে,
ছেলেটির সব দুঃখ মুছে দিতে!

এত কষ্ট কেন ভালোবাসায়!

মনে পরে কোন এক স্বর্গদিনে,
ভাবনার ডানা মেলে দিয়ে,
ভেবেছিলো সাদা মেঘের ভেলায়,
আনমনে যাবে হারিয়ে!

হঠাত কি হয়ে গেলো সেই মেয়েটির,
শুকিয়ে গেলো ভোরের শিশির!
ছেলেটি পেলনা কোন উপায়,
মরনের কাছে সে যে অসহায়!

কোন এক নিঝুম রাতে,
দুটি হৃদয় দুই ভুবনে!
অস্থির মন শুধু কেঁদে ওঠে,
কোন উপায় না পেয়ে!

মৃত্যুর শহর

ব্যান্ড: অর্থহীন

অনন্তকাল মৃত্যু কেটেছে অন্ধ কূপে
পুনর্জন্ম আমার আঁধারের ছায়াতে,
রক্তের উপাসনা ত্রিভুজ ছয়ের প্রভুতে
শক্তি দাও আমাকে অশুভ গ্রহের।

সব দুঃস্বপ্ন হোক সত্য অশরীরী অনন্ত
আলোর সমাধিতে হায়েনার উল্লাস শুনো,
অতৃপ্ত আত্মাদের প্রতিধ্বনি ডাকে আমায়
সোঁদা দেয়ালের নিঃশ্বাস ঘিরে রাখে আমাকে।

সব ছায়াতে মিশে আছে আঁধার
জেগে উঠবে তুমি অমানুষের অস্পর্শ তাড়নায়,
এই সভ্যতায় মুক্তির নেশা এই ছায়ার জগতে।

স্বাগত মৃত্যুর শহরে
সঁপে দাও নষ্ট স্বত্তা
আমি পরবাস্তবতা
পূজারী হোক।

ঢেকে যাক পৃথিবী নিখিল কুয়াশায়
চারিদিকে আর্তনাদ শ্মশানের নীরবতায়,
পূর্ণ হোক তোমাদের এইসব বিদ্বেষ হিংস্রতা
আড়ালের এই দেশটাতে আঁধারের দেবতা।

স্বাগত মৃত্যুর শহরে
সঁপে দাও নষ্ট স্বত্তা
আমি পরবাস্তবতা
পূজারী হোক।

স্বাগত মৃত্যুর শহরে
সঁপে দাও নষ্ট স্বত্তা
আমি পরবাস্তবতা
পূজারী হোক।

গুটি

ব্যান্ড: অর্থহীন

চেয়েছিলে সবকিছু ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে
ভেবেছিলে ভেঙে পরব আমি এই বাতাসে,
করেছিলে নতুন নতুন টালবাহানা
ভেবেছিলে আকাশটা তোমার শেষ সীমানা।
….হে হে আহা
চেয়েছিলে সবকিছু ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিতে
ভেবেছিলে ভেঙে পরব আমি এই বাতাসে,
করেছিলে নতুন নতুন টালবাহানা
ভেবেছিলে আকাশটা তোমার শেষ সীমানা।

হাসার চেষ্টা তোমার ফোকলা দাঁতে
দিনের পর যে আবার রাতই আসে,
আকাশটা যে এখন হাতের কাছে
গুটি চালতে এখন কেমন লাগে।

ভেবেছিলে ছিটকে পরব আমি বহুদূর
হারিয়ে যাবে আমার গানের কোথা সুর,
গিটারটা বাজবে না আর আগের মত
শুকোবে না আমার মনের এই ক্ষত।

হাসার চেষ্টা তোমার ফোকলা দাঁতে
দিনের পর যে আবার রাতই আসে,
আকাশটা যে এখন হাতের কাছে
গুটি চালতে এখন কেমন লাগে।

আমি তোমার প্রতি রাতের দুঃস্বপ্ন
থমকে উঠে পানির গ্লাসে হাত বাড়ানো,
গলায় তোমার আটকে যাওয়া ভয়ের কাটা
সেযে আমার গানের সুর গানের কথা।

মরিচ খেলেতো ঝাল লাগবেই
পেঁয়াজ কাটলেটতো কান্না পাবেই।
আকাশটা যে এখন পায়ের নীচে
গুটি চালতে এখন কেমন লাগে।

মরিচ খেলেতো ঝাল লাগবেই
পেঁয়াজ কাটলেটতো কান্না পাবেই।
আকাশটা যে এখন পায়ের নীচে
গুটি চালতে এখন কেমন লাগে।

গুটি-২

ব্যান্ড: অর্থহীন

হেই হেই শুনছ ছেলে
যাচ্ছ কোথায় তুমি?
আকাশে যে মেঘের ঘনঘটা,
বাজ পড়বে এখনই।

পিছন ফিরে তাকিও না তুমি আর
আমি তোমার দুঃস্বপ্নে হাহাকার,
পায়ের নীচে মাটি যে নেই তোমার
পথ খুঁজছ তুমি এখন পালাবার।

হেই হেই মাথার উপর মুখটা তুলে দেখো
আকাশটা যে নেই আর সেথায় কেমন লাগছে বলো।

পিছন ফিরে তাকিও না তুমি আর
আমি তোমার দুঃস্বপ্নে হাহাকার,
পায়ের নীচে মাটি যে নেই তোমার
পথ খুঁজছ তুমি এখন পালাবার।

ভেবেছিলে সব কিছু হবে সহজ,
নীল নকশা অসুস্থ মগজ।
মরিচের ঝালটা যে যাচ্ছে না আর,
গুটি চেলে লাগে কেমন এবার।

ভেবেছিলে সব কিছু হবে সহজ,
নীল নকশা অসুস্থ মগজ।
মরিচের ঝালটা যে যাচ্ছে না আর,
গুটি চেলে লাগে কেমন এবার।

ভেবেছিলে সব কিছু হবে সহজ,
নীল নকশা অসুস্থ মগজ।
মরিচের ঝালটা যে যাচ্ছে না আর,
গুটি চেলে লাগে কেমন এবার।

গুটি ফ্রম হেল

ব্যান্ড: অর্থহীন

আবার ডাকছি তোমায় আমি
শুনছ কি তুমি?
মাঝরাতের এই দুঃস্বপ্নগুলো কেমন বলো শুনি,
অসুস্থ তোমার মগজ হাসি আসে না আগের মতো।
নিজের জাল ঘিরে আছে,
কাউকে না বলে এই তোমার কাছে।
এযে তোমারই চালা গুটি,
তোমাকেই খোঁজে আজ তোমারই সৃষ্টি।

পিছন ফিরে দেখো আসছে কি
চিনতে তুমি পারো কি?
ফোকলা দাঁতে তোমার হাসি,
আজ কেন মলিন।
মাঝরাতের এই নীল নকশা ,
কি এখনও বোঝনি,
তাড়া করছে আজ তোমায়-

গুটি ফ্রম হেল!!

আবার ডাকছি তোমায় আমি
শুনছ কি তুমি?
মাঝরাতের এই দুঃস্বপ্নগুলো কেমন বলো শুনি,
অসুস্থ তোমার মগজ হাসি আসে না আগের মতো।
নিজের জাল ঘিরে আছে,
কাউকে না বলে এই তোমার কাছে।
এযে তোমারই চালা গুটি,
তোমাকেই খোঁজে আজ তোমারই সৃষ্টি।

পিছন ফিরে দেখো আসছে কি
চিনতে তুমি পারো কি?
ফোকলা দাঁতে তোমার হাসি,
আজ কেন মলিন।
মাঝরাতের এই নীল নকশা ,
কি এখনও বোঝনি,
তাড়া করছে আজ তোমায়-

গুটি ফ্রম হেল!!

ওওওওওওওওওওওওওওও……………….(চিৎকার)

পিছন ফিরে দেখো আসছে কি
চিনতে তুমি পারো কি?
ফোকলা দাঁতে তোমার হাসি,
আজ কেন মলিন।
মাঝরাতের এই নীল নকশা ,
কি এখনও বোঝনি,
তাড়া করছে আজ তোমায়-

গুটি ফ্রম হেল!!

গুটি দ্যা ফাইনাল

ব্যান্ড: অর্থহীন

অন্ধকারের শেষে আলো দেখার আশায়
চোখ বুজে স্বপ্ন দেখার চেষ্টা কি তোমার?
মাঝরাতে ঘুমের মাঝে দুঃস্বপ্নের চিৎকার,
লাগছে কেমন হতে আমার সাফল্যের শিকার।
চেয়েছিলে আঁকতে আল্পনা আমার রক্তে,
ছুঁতে ওই নীলাকাশ আমায় ছুঁড়ে ফেলে…অন্ধকারে।

ভেবেছিলে সবকিছু হবে সহজ,
গুটির চালে সবাইকে করবে বশ।
তোমার অস্তিত্ব আমার পায়ের নীচে,
খেলার শেষটা হবে আজ এখানে।

তোমার শেষ গুটির চালটা হয়ে গেলো কেমন যেন
স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝে কি মস্ত ফাটল?
তোমার যত অভিনয় আর সস্তা কান্না
শুনিও তোমার বিবেকটাকে সামনে ধরে আয়না।

চেয়েছিলে আঁকতে আল্পনা আমার রক্তে,
ছুঁতে ওই নীলাকাশ আমায় ছুঁড়ে ফেলে…অন্ধকারে।

ভেবেছিলে সবকিছু হবে সহজ,
গুটির চালে সবাইকে করবে বশ।
তোমার অস্তিত্ব আমার পায়ের নীচে,
খেলার শেষটা হবে আজ এখানে।

ভেবেছিলে সবকিছু হবে সহজ,
গুটির চালে সবাইকে করবে বশ।
তোমার অস্তিত্ব আমার পায়ের নীচে,
খেলার শেষটা হবে আজ এখানে।

এপিটাফ

ব্যান্ড: অর্থহীন


বৃষ্টি নেমেছে আজ আকাশ ভেঙ্গে
হাঁটছি আমি মেঠো পথে,
মনের ক্যানভাসে ভাসছে তোমার ছবি
বহুদিন তোমায় দেখি না যে।

তোমায় নিয়ে কত স্বপ্ন আজ কোথায় হারায়
পুরোনো গানটার সুর আজ মোরে কাঁদায়।
তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল
আমি তো বসেছিলাম নিয়ে শুধু গানের সুর,
তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল
চলে গেছ কোথায় আমায় ফেলে বহুদূর…….বহুদূর।

সাদা কালো এ জীবনের মাঝে
রঙ্গিন ছিলে তুমি শুধু,
তোমায় নিয়ে লেখা কত কবিতায়
দিয়েছিলাম কত সুর।

আজ আমার হাতের মুঠোয় নেই যে তোমার হাত
ভোরের আলো ফুটবে কখন,
ভেবেছি কত রাত।

তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল
আমি তো বসেছিলাম নিয়ে শুধু গানের সুর,
তুমি তো দিয়েছিলে মোরে কৃষ্ণচূড়া ফুল
চলে গেছ কোথায় আমায় ফেলে বহুদূর……..বহুদূর।

যুদ্ধ শেষে আজ ঘরে ফিরে
দেখি নাই তুমি যে পাশে,
ভেবেছিলাম তুমি থাকবে
দাঁড়িয়ে কৃষ্ণচূড়া ফুল হাতে।

তবে কি যুদ্ধে গেলাম
তোমায় হারাতে,
এপিটাফ এর লেখা গুলো
পড়ি ঝাপসা চোখে।

আমি তো দিয়েছিলাম তোমায় কৃষ্ণচূড়া ফুল
তুমি তো গেয়েছিলে সেই নতুন গান এর সুর,
আমি তো দিয়েছিলাম তোমায় কৃষ্ণচূড়া ফুল
তবে কেন গেলাম আমি চলে তোমায় ফেলে বহুদূর।
………….বহুদূর
…………বহুদূর
………..বহুদূর।

20 November 2011

তুমি কি সাড়া দিবে?

ব্যান্ড: ব্ল্যাক

(তুমি কি সাড়া দিবে? আবারো কি সাড়া দিবে?)

এক মুঠো মুক্তির ডাক পাঠাচ্ছে
মন থেকে মনে শব্দ ছড়াচ্ছে
তুমি কি সাড়া দিবে?

ফেরারী বাতাসে বন্ধুর ডাকা ডাকি
হারিয়ে যাওয়ারই ইচ্ছা সবার
তুমি কি সাড়া দিবে?
আবারো কি সাড়া দিবে?

বোহেমিয়ান বাতাসে চল হেঁটে যাই
একই সাথে একই সুরে আমরা সবাই
লক্ষ্য হারিও না
স্বপ্ন ছেড়ো না,
ডাকছে জীবন
তুমি বসে থেকো না।

তুমি কি সাড়া দিবে?

ফেরারী বাতাসে বন্ধুর ডাকা ডাকি
হারিয়ে যাওয়ারই ইচ্ছা সবার
তুমি কি সাড়া দিবে?
আবারো কি সাড়া দিবে?

তুমি কি সাড়া দিবে?
আবারো কি সাড়া দিবে?

তুমি কি সাড়া দিবে?
আবারো কি সাড়া দিবে?

তুমি কি সাড়া দিবে?
আবারো কি সাড়া দিবে?

তুমি কি সাড়া দিবে?

এখনও

ব্যান্ড: ব্ল্যাক

আমার এই আঁধার আমার কবিতা
সময়ের পাতায় যা লিখে চলি,
ছিল সবই তোমার
আছে আজো তোমার
আঁধারের নির্জনতায়।

এই নির্ঘুম রাতে একা আমি
জানালার পাশে দাঁড়িয়ে,
চিৎকার করে বলতে চাই
তোমায় আমি…

ভালোবাসি শুধু তোমায় ভালোবাসি,
এখনও শুধু তোমায় ভালবাসি।

আমার এই ভোরের আলোয় ছুটে চলা
শুধুই কল্পনায় ছুটে যাওয়া,
তুমি রাতের আঁধার ঘিরে এলে
তুমি আমার ভোরের আলোয় পাওয়া,
অন্তহীন এ পথে…

এই ভোরের স্তব্ধতা ভেঙ্গে দিয়ে
লাল আকাশে চির ধরিয়ে,
চিৎকার করে বলতে চাই
তোমায় আমি…

ভালোবাসি শুধু তোমায় ভালোবাসি,
এখনও শুধু তোমায় ভালবাসি।

আমরা

দুজন কে আজ মনে হয় দুগ্রহের
তোমার জীবনের স্রোত ভীষণ পৃথক,
ছুটে যেতে চাই দূরে
অথচ তোমাকে এড়াতে পারিনা।

তবু খুঁজি জীবনের এই সময়
ভাবি তোমার স্পর্শে সুখি হব,
অথচ ওই চোখে ঘৃণার আগুন দেখে
লুকাতে চাই অদৃশ্য পাখির মত আমি।

কখন সময় হবে দুরত্ব বাড়াবার
আমি এসবের শেষ কথা জানি,
কখব সে আলোয় মুখোমুখি হয়ে
কেউ কারো মুখ চিনবে না।

তবু খুঁজি জীবনের এই সময়
ভাবি তোমার স্পর্শে সুখি হব,
অথচ ওই চোখে ঘৃণার আগুন দেখে
লুকাতে চাই অদৃশ্য পাখির মত আমি।

কোথায়

ব্যান্ড: ব্ল্যাক

শহর ছাড়িয়ে দূরে
আরো দূরে,
লাল মাটি বুনো পথ
তোমার চিহ্ন পাবো?

আমিতো খুঁজছি কিছু মানবিক বোধ…

বৃষ্টিতে ধুয়ে যাক
পাথর ঘর,
রাত যেন নামে
তার অন্ধকার নিয়ে।

ফুলের জন্মে নেই তুমি
সূর্য্যের মৃত্যুতেও,
নেই তুমি জলে
আছো হৃদয়ে।

আমিতো খুঁজছি কিছু মানবিক বোধ…

বৃষ্টিতে ধুয়ে যাক
পাথর ঘর,
রাত যেন নামে
তার অন্ধকার নিয়ে।

সে যে বসে আছে (OST of Offbeat)

ব্যান্ড: ব্ল্যাক

সে যে বসে আছে একা একা
রঙ্গীন স্বপ্ন তার বুনতে,
সে যে চেয়ে আছে ভরা চোখে
জানালার ফাঁকে মেঘ ধরতে।

তার গুণগুণ মনে গান বাতাসে ওড়ে
কান পাতো মনে পাবে শুনতে,
তার রঙের তুলির নাচে মেঘেরা ছোটে
চোখ মেলো যদি পারো বুঝতে।

সে যে বসে আছে একা একা
তার স্বপ্নের কারখানা চলছে,
আর বুড়ো বুড়ো মেঘেদের দল
বৃষ্টি নামার তাল গুনছে।

তার গুণগুণ মনের গান বৃষ্টি নামায়
টপটপ ফোঁটা পড়ে অনেকক্ষণ,
সেই বৃষ্টিভেজা মনে দাগ দিয়েছে
ভেজা কাক হয়ে থাক আমার মন।

অভিমান

ব্যান্ড: ব্ল্যাক

স্বগত লগ্নে জমাট স্তব্ধতা
ঘুম পেলে ক্ষতি কি?
তোমার চোখে গভীর বিশ্বাস
হারালে ক্ষতি কি?

কেবলই অভিমানের রাত
তবে কেনো প্রতিক্ষা?
ক্ষয়া চোখের ভুলের বিন্যাস
নিভু স্বপ্ন বাতিটা…

আমাকে তুমি জাগিয়ে
একা কেন ঘুমালে?
আমাকে এড়িয়ে তোমার আকাশে
কবে ফুল ঝড়েছে?

তোমার চারুগৃহ কেনো যে খুলে যায়
দেয়ালে মাথা কোটে ধুসর আঁধার,
দু চোখ অন্ধের উপড়ে ফেলো তুমি
মাতাল ভাঁড় হোক সঙ্গী তার।

আমাকে তুমি জাগিয়ে
একা কেন ঘুমালে?
আমাকে এড়িয়ে তোমার আকাশে
কবে ফুল ঝড়েছে?
বলো…

ছেলেটি

ব্যান্ড: ব্ল্যাক

ছেলেটির কাছে কেউ নেই
তার হৃৎপিন্ডে জমাট আঁধার
সঙ্গীহীন জীবন তার
এখানে শব্দেরা থেমে থাকে।

একদিন নিভেছিল আকাশে
নীল মেঘের মত ঘুরবে
কেউ করবে না মানা
একটি স্বপ্নের মৃত্যু।

একদিন রাত শেষে নেমে এল সে
শহরের ওপাশে নদীর কাছে
কেবলই জীর্ণ শীতে কাঁপে
চিঠি লিখছে ঈশ্বরের কাছে।

একা-২

ব্যান্ড: ব্ল্যাক

তুমি কি মনে রেখেছ
সব কথা গান?
ডায়েরীটা হারিয়ে গেলে
জানোনা কি হবে?

যদি তুমি চাও
চারিদিকে শুধু আঁধার
তবুও পারবে না ফেরাতে
জীবনের সকল উৎসব।

কেনো যে ফিরে এলে
মাঝরাতের বৃষ্টির ভেতরে…

এবার ফেরার পালা
অথচ ফিরব কোথায়?
না বুঝে একটার পর একটা
আগুন নিভে যায়।

কেনো যে ফিরে এলে
মাঝরাতের বৃষ্টির ভেতরে…

বহুদূরে হেঁটে এলে,
কিছু ছায়ার দেখা মেলে।

এই আমি

ব্যান্ড: ব্ল্যাক


নিভে গেছে যা ছিল আগুন
নিভে গেছে অবিশ্বাস্য ক্রোধ
এখন আমাকে নাও তুমি
এই অবোধ শিশু কে নাও।

নিভে যাওয়া আগুনের পাশে
খেলা করি অবোধ এক শিশু
এই আমি সত্যি আমি
এই সত্যিকারের আমি।

দেখো ওই চোখের জল
কেবলই শুণ্য তরল
এই জলের কি মানে
বল তুমি আমাকে।

এখন আমাকে নাও তুমি,
এই অবোধ শিশু কে নাও।

ডাক

ব্যান্ড: ব্ল্যাক

একদিন বলেছিলে বন্ধু
বৃষ্টি ভালোবাসো
চলোনা ভিজে যাই আজ বিকেলে?

একদিন বলেছিলে বন্ধু
মিছিলে যাবে
চলোনা রাত জাগি সংগ্রামে?

তাহলে এসব কথার মানে কি?
যদি না ভাঙতে পারো ইতিহাস
যদি না গাইতে পারো তুমি
পুরনো গানটাকে অস্বীকার করে।

পুরনো পথ ছিল ঢাকা মুখোশে
কাঠের সিঁড়ি তে ছিল রক্তের দাগ
ও পথ হেঁটো না বন্ধু কিছু পাবে না
দেখো লক্ষ শিশু কাঁদে তোমার অপেক্ষায়

তাহলে এসব কথার মানে কি?
যদি না ভাংতে পারো ইতিহাস
যদি না গাইতে পারো তুমি
পুরনো গানটাকে অস্বীকার করে।

আমরা

ব্যান্ড: ব্ল্যাক

দু’জনকে আজ মনে হয় দু-গ্রহের।
তোমার জীবনের স্রোত ভীষণ পৃথক।
ছুটে যেতে চাই দূরে
অথচ তোমাকে এড়াতে পারিনা …
তবু খুঁজি জীবনের এই সময়ে
ভাবি তোমার স্পর্শে সুখি হব …
অথচ ঐ চোখে ঘৃণার আগুন দেখে
লুকাতে চাই অদৃশ্য পাখির মত

কখন সময় হবে দূরত্ব বাড়াবার?
আমি এসবের শেষ কথা জানি!
কখনও সে আলোয় মুখোমুখি হলে
কেউ কারও মুখ চিনবে না …

তবু খুঁজি জীবনের এই সময়ে
ভাবি তোমার স্পর্শে সুখি হব …
অথচ ঐ চোখে ঘৃণার আগুন দেখে
লুকাতে চাই অদৃশ্য পাখির মত

মানুষ

ব্যান্ড: ব্ল্যাক

কারও কারও চোখে দেখি ঘৃনা
কারও বুকের গভীরে থাকে সুখ।
বিপরীত এই স্রোতের পাশে বন্দি আমরা
কেবলি যুদ্ধের অয়োজন করে চলেছি।

অনেক অনেক মৃত্যুর পর শান্তি ফিরবে একদিন
ক্রমাগত ঘৃনায় পুড়ে মানুষ হবে নিষ্প্রান।

তবুও মানুষ জানি স্বপ্নময় স্বাধীন
আর সে থাকবে না পরাধীন।
মানুষ ফিরে পাবে তার ঠিকানা তার আশ্রয়।
নিয়তির বিরুদ্ধে লড়ে যায় সোনালি মানুষ
একদিন চলে যাবে সূর্যের খুব কাছে।

অনেক অনেক মৃত্যুর পর শান্তি ফিরবে একদিন
ক্রমাগত ঘৃনায় পুড়ে মানুষ হবে নিষ্প্রান।

অপলাপ

ব্যান্ড: ব্ল্যাক

দীর্ঘ রাত জাগে চোখের গভীরে
দেওয়ালে কার ছায়া কাঁপে
যদিও এই রাত এক প্রবল প্রতিপক্ষ
তোমার অপসৃত মুখে ওঠে ঢেউ

জানালার আলো ছেড়ে ঘরে যাও
ওখানে অন্ধকারে মুখ লুকাও
বিক্ষত বুকে কারও স্পর্শ পাবে বলে …

গভীর অন্ধকার থেকে এসে
তোমার আলোকিত ঘরে
তোমাকে পাইনি বলে চলে যাচ্ছি
আরও গভীর আঁধারে …

জানালার আলো ছেড়ে ঘরে যাও
ওখানে অন্ধকারে মুখ লুকাও
বিক্ষত বুকে কারও স্পর্শ পাবে বলে …

Blues & রোদ

ব্যান্ড: ব্ল্যাক

স্পর্শ নয় মৌনতা নয়
পাশাপাশি থাকা,
মাটির গভীরে মাটি
আর জলের গভীরে জল।

কাব্য নয় রাত জাগা নয়
পাশাপাশি থাকা।

রোদের ভেতর রোদ
ক্রোধের ভেতর ক্রোধ।
রোদের ভেতর রোদ
ক্রোধের ভেতর ক্রোধ।

এরকম ভালোবাসায় বিশ্বাসী নও তুমি
অথচ তোমাকে আজ দেখি এই আমি,
অজস্র ছায়ার পাশে দাঁড়িয়ে
কি যেন দেখছ।

রোদের ভেতর রোদ,
ক্রোধের ভেতর ক্রোধ।
রোদের ভেতর রোদ
ক্রোধের ভেতর ক্রোধ।

অন্ধ

ব্যান্ড: ব্ল্যাক


ফিরে যেতে চাই তোমার ভেতরে
মুখোশ গুলো ফেলে রেখে
আমাকে টেনে নাও।

এখনো পাইনি খুঁজে কিছু
এখনো আড়ালে সে।

সব কিছু দেখে অন্ধ হয়েছি
মিথ্যার কলমে সত্য লিখে
বসে থাকি সবার সাথে।

এখনো পাইনি খুঁজে কিছু
এখনো আড়ালে সে।

ইচ্ছা

ব্যান্ড: ব্ল্যাক

আমার প্রার্থনা এই:
এই দুঃখের কাছে নত যেন না হই;
নিজেকে ধরে রাখি
জীবনের মাঝে।

আমার প্রার্থনা এই :
আবার যেন যাই
জলের কিনারায়
স্বর্গের সিঁড়িটা যেন চিনতে পারি।

আমার প্রার্থনা এই :
পৃথিবীর সব ক্রোধ এক ঝড়ের রাতে ফেলে দিই
সমুদ্রের জলের গভীরে।

আমার প্রার্থনা এই :
আবার যেন যাই জলের কিনারায়
স্বর্গের সিঁড়িটা যেন চিনতে পারি।

উৎসবের পর

ব্যান্ড: ব্ল্যাক

এখানে এসে দাঁড়ালে মনে পড়ে যাবে।
বুকের ভিতর হাওয়া ঘুরে উঠবে আবার;
এখন রাস্তায় জমে আছে শুকনো পাতা
দিয়েছে ঢেকে হারানো পায়ের ছাপ।

সেদিনের উৎসবে আলোয় অজস্র মুখ
হৃদয়ে শান্তির নীল স্রোত বইছিল?

একাকী অন্য জীবনে কেউ হারিয়ে যাচ্ছিল?
হারিয়ে যাওয়ার আগে শেষবার দেখছিল?
তারপর দীর্ঘ ঘুমে অচেতন
কে যেন ডাক দিল আবার ফিরে যেতে।

সেদিনের উৎসবে আলোয় অজস্র মুখ
হৃদয়ে শান্তির নীল স্রোত বইছিল?

এখন ফিরে এসেছে সে

দু পাশে আলোর মতন ফুটছিল এক মুখ!

মিছিমিছি

ব্যান্ড: ব্ল্যাক

তুমি নেই, এটাই একমাত্র সত্য।
অন্য সত্যরাও আছে;
আমিও তাই মিছিমিছি আছি
এই লুকোচুরি খেলায়
মুখোশ জগতে
তুমিও চেয়েছিলে
পাথরে ফুল ফোটাতে।

এখন মাঝরাত। দুঃখী বালক কাঁদে;
তবুও হাঁটছে দেখ শীতার্ত পথে-
এই লুকোচুরি খেলায়
মুখোশ জগতে
তুমিও চেয়েছিলে
পাথরে ফুল ফোটাতে।

কোথাও

ব্যান্ড: ব্ল্যাক

শহর ছাড়িয়ে দূরে, আরও দূরে …
লাল মাটির বুনো পথ, তোমার চিহ্ন পাব?

আমি তো খুঁজছি কিছু মানবিক বোধ!

বৃষ্টিতে ধুয়ে যাক পাথর-ঘর,
রাত যেন নামে তার অন্ধকার নিয়ে …

ফুলের জন্মে নেই তুমি
সূর্যের মৃত্যুতেও (নেই)
নেই তুমি জলে
আছ হৃদয়ে …

আমি তো খুঁজছি কিছু মানবিক বোধ!

বৃষ্টিতে ধুয়ে যাক পাথর-ঘর,
রাত যেন নামে তার অন্ধকার নিয়ে …

পরাহত

ব্যান্ড: ব্ল্যাক


ধূলো পড়া সেই ঘর
অদৃশ্য দেয়াল তুলে দাঁড়িয়ে;
ভিজে কাঠে শ্যাওলা জমেছিল
বাতাসের শব্দ উঠত জানালায় …

তোমার উষ্ণ বুকে চিহ্ন এঁকেছিলাম …

আমার বলা হল না
আমার ফেরা হল না

ওখানে আঁধার বড় সামুদ্রিক
লোনা গন্ধ ভাসত বাতাসে;
ছিল না আলো কাছাকাছি
শুধু তোমাতেই ভরে ছিল ঘর…

তোমার উষ্ণ বুকে চিহ্ন এঁকেছিলাম

আমার বলা হল না
আমার ফেরা হল না

চেনা দুঃখ

ব্যান্ড: ব্ল্যাক


তবুও অপেক্ষায় থেকো রাত জেগে
আমি ফিরতেও পারি কথার টানে
তোমার অজস্র শব্দের মুঠোয় জীবন আমার
নিয়ত ক্ষয়ের পাশে, কেন যে বাচতে চাই?

Chorus:
তবুও তোমার গান বুঝিনি আমি
বুঝেছি শুধু তোমার কাছে যাবার পথ নেই
অথচ হাটছি ম্লান জোছনায়
শোকার্ত উপকূল ছুয়ে…

মাঝরাতের চাদ ডুবে গেলে, ঘুমের ঘোরে
তোমার আলোটুকুর দিকে চেয়ে হাটছি
দিকচিহ্ন হীন এই আমি সহসা বৃষ্টিতে
মনে হয় মায়াবী তুমি দাঁড়িয়ে পাশে।

Chorus:
তবুও তোমার গান বুঝিনি আমি
বুঝেছি শুধু তোমার কাছে যাবার পথ নেই
অথচ হাটছি ম্লান জোছনায়
শোকার্ত উপকূল ছুয়ে…

Repeat Chorus:
তবুও তোমার গান বুঝিনি আমি
বুঝেছি শুধু তোমার কাছে যাবার পথ নেই
অথচ হাটছি ম্লান জোছনায়
শোকার্ত উপকূল ছুয়ে…

মিথ্যা

ব্যান্ড: ব্ল্যাক

সময় হলো এখন আমার
মুখোমুখি বসবার
বুকের কাছে প্রিয় আগুন
জ্বলে উঠবার

তোমার সঙ্গে আমি হারিয়ে যাবো
ঘুমের দেশে লুকাবো
বাতাসের দিনে হেটে যাবো
বহুদূর…

সময় হলো এখন তোমার
আমাকে জাগাবার
ভেজা হাতে ছুয়ে দিয়ো
আমার সব আদ্রতা

তোমার সঙ্গে আমি হারিয়ে যাবো
ঘুমের দেশে লুকাবো
বাতাসের দিনে হেটে যাবো
বহুদূর…

বালিকা

ব্যান্ড: দলছুট
কথা: প্রজ্ঞা নাসরীন

বালিকা জেনেছে সব
গোলক ধাঁধায় তার আনন্দ ভ্রমন
এতো সব পেয়ে, এতো সব পেয়ে
বালিকা জেনেছে সব।

বিদ্রুপ

ব্যান্ড: দলছুট
কথা: শাহান কবন্ধ

আমার জন্য মরতে পারো
এসব কথা ছাড়ো,
আমি ভালো থাকাটাই
আমার কাছে বড়।

সামনে দাঁড়া

ব্যান্ড: দলছুট
কথা: রানা

আঁধার শেষে আলোয় হেসে
সুর্য আকাশ বুকে ধরে
সামনে দাঁড়া, সামনে দাঁড়া।
ভিড়ের মানুষ আর কতকাল

মন ছুঁয়েছো

ব্যান্ড: দলছুট

মন ছুঁয়েছো মন দিয়েছি
আছে কিছু দেনা,
তাই বলে কি ভাবছ নাকি
মনটা তোমার কেনা?

17 November 2011

হুঙ্কারের অপেক্ষায়

ব্যান্ড :আর্টসেল

চেয়ে আছে পৃথিবী
জেগে আছে কোটি চোখ
থমকে আছে চারপাশ
করতালির অপেক্ষায় (২)

এই সময় সেই সময়
চেতনার এই ক্ষণে
আকাশ বাতাস জেনে গেছে
হুঙ্কারের অপেক্ষায়!


আমার শিরায় জ্বলে আগুন
রুদ্ধশ্বাসে পুড়তে চাই
আমার চোখে ঝড়ো মিছিল
স্লোগানে বদ্ধ উপমায়।

দীর্ঘ যুগের জমানো সাধ
জমে আছে আমারি গায়
আমার স্বত্তা চিৎকার করে
জাগবে সারা বিশ্বময়।

জেনে দাড়াও জেনে দাড়াও
আলোর কথা
জেনে দাড়াও জেনে দাড়াও জেনে দাড়াও
বাংলাদেশকে জেনে যাও

চেয়ে আছে পৃথিবী
জেগে আছে কোটি চোখ
থমকে আছে চারপাশ
করতালির অপেক্ষায়

এই সময় সেই সময়
চেতনার এই ক্ষণে
আকাশ বাতাস জেনে গেছে
হুঙ্কারের অপেক্ষায়!

উড়ে যাক দমকা হাওয়ায়
দুঃখ ক্ষরা যন্ত্রণা
জেগে উঠুক আমার দেশ
লাল সবুজের পতাকায়

চমকে উঠুক পৃথিবী আজ
চমকে উঠুক স্বপ্নরা
থমকে তুলুক নীল আকাশ থেকে
গর্জে উঠুক বিজয়ে

জেনে দাড়াও জেনে দাড়াও
আলোর কথা
জেনে দাড়াও জেনে দাড়াও জেনে দাড়াও
বাংলাদেশকে জেনে যাও

চেয়ে আছে পৃথিবী
জেগে আছে কোটি চোখ
থমকে আছে চারপাশ
করতালির অপেক্ষায়

এই সময় সেই সময়
চেতনার এই ক্ষণে
আকাশ বাতাস জেনে গেছে
হুঙ্কারের অপেক্ষায়!

বরাবরের ভুল বাড়িয়ে
অনেক সময় ডুড়েছি
আমার দিকে নির্দেশ করে
অনেক কথাই শুনেছি

আমার দেশে আমার মানুষ
থেমে যেতে আসেনি
সূর্য যখন হাতের মুঠোয়
তোমরা কি তা দেখোনি?(২)

চেয়ে আছে পৃথিবী
জেগে আছে কোটি চোখ
থমকে আছে চারপাশ
করতালির অপেক্ষায়…

এই সময় সেই সময়
চেতনার এই ক্ষণে
আকাশ বাতাস জেনে গেছে
হুঙ্কারের অপেক্ষায়…..

অলস সময়ের পাড়ে

ব্যান্ড :আর্টসেল

অলস সময়ের পাড় ধরে হাঁটছি,
ঢেউ এসে পড়ে পৃথিবীর শব্দ ও নীরবতায়,
ভাঙে অন্ধকার আলো ছায়ায় মাখামাখি পৃথিবী।

স্বপ্নের পাড়ে একা একা হাঁটছি…

আলোর কার্নিশে জমে দিন,
রাতের নিশাচর নিঃশ্বাসে মেশে মদ,
আজও মাতাল আমি পথভ্রষ্ট কবি।

পৃথিবীর কোলাহলে একা একা হাঁটছি…

অসাড় কথার শেষে আরও কথা থাকে শব্দহীন অনুচ্চারে,
ঝড়ের হাওয়ায় ভেঙে যায় অন্তমিল,
দু’জনার মিথ্যে আবেগে পড়ে থাকে মৃত নদী।

জীবনের পাড় ধরে আজও একা হাঁটছি…

অলস সময়ের সৈকতে ঢেউ এসে পড়ে স্বপ্ন জুড়ে,
ভেঙে দেয় ছায়ার মত তুমি,
রোদের আকাশে ভেঙে যায় মেঘের স্বপ্নপুরী।

পৃথিবীর কোলাহলে তুমি আমি হাঁটছি…

স্বপ্নের পাড়ে একা একা হাঁটছি।
পৃথিবীর কোলাহলে একা একা হাঁটছি।
জীবনের পাড় ধরে আজও একা হাঁটছি।
পৃথিবীর কোলাহলে তুমি আমি হাঁটছি।

অবশ অনুভুতির দেয়াল

ব্যান্ড :আর্টসেল

তোমার জন্য পৃথিবী আজ নিয়েছে বিদায়,
তবুও তোমার টুকরো ছায়ায় ডুবে আছে কত মিথ্যে আগুন,
অন্ধকারময় কত স্মৃতি কত সময়।

তোমার জন্য পৃথিবীতে আজকে ছুটির রোদ,
নিজের মাঝে তোমায় খোঁজা,
আকাশ নীলে তাকিয়ে থাকা।

তোমার জন্য পৃথিবী আজ নিয়েছে বিদায়
মেঘাচ্ছন্ন ব্যাস্ত ঢাকায়,
মানুষগুলো শূন্য চোখে দুঃখ দ্বিধায়
আকাশ পানে তাকায়।

তোমার জন্য পৃথিবীতে থেমে যায় সময়,
আমার দেহে রাত্রি নামায় মিথ্যে আগুন অন্ধকারময়,
ভিড়ের মাঝে আবার ভীড়ে
আমার শরীর মেশে কোলাহলে
দুঃখ ভুলে মিশে যাই মুখোশ স্রোতে।

অনেক দূরের একলা পথে ক্লান্ত আমি ফিরি তোমার কাছে,
মুখোশ খুলে বসে রই জানলা ধরে,
আমার গানের শব্দ সুরের অন্তরালে তোমায় আঁকি কান্না চেপে
মহাকালের ক্লান্ত পথে।

তোমার জন্য বৃষ্টি ঝরে আমার লেখায়
আলোর মত মিথ্যে ছায়ায়,
পাথর হয়ে ঘুরে মরে আমার হৃদয়
কত স্মৃতি, কত মিথ্যে ভয়।

তোমার জন্য গলার ভেতর আতকে থাকে ক্রোধ
আমার চোখে স্মৃতির ঘোলা জল,
নির্জনতায় তোমার কোলাহল।

তোমার না থাকা অস্তিত্ব রয়ে গেছে আমার নিঃশ্বাসে,
ফেলে আসা এই পথে দুজনেই একসাথে,
আমার অবশ অনুভুতির দেয়াল জুড়ে কত সময়
হেঁটে এসে আমরা দু’জন
হারিয়েছে পথ কোথায় কখন।

আমার দেহে খুঁজে ফিরি তোমার অনুভূতি
তোমার চোখের দূরের আকাশ মিশে থাকে রূপক হয়ে,
তোমার জন্য বিষণ্ণ এক নিথর হৃদয়
আমার ভেতর দাঁড়ায় সরব একা।

তোমার পৃথিবী স্বর্গের মত চির অদেখা,
তোমার জন্য পথ হারিয়ে অজানায়,
তবুও তোমার লেখায় কথায়,
ফেরে ক্লান্ত আমার অলস সময়,
কত স্মৃতি কত অন্ধকার ভয়।

কৃত্রিম মানুষ

ব্যান্ড :আর্টসেল

কালো মেঘে ঘেরা পৃথিবীতে কৈশোর বয়সে
আমি শিখেছি নিজেকে চিনতে অন্যের দৃষ্টিতে।
যাযাবর আমি পৃথিবীতে মানুষের রূপ ধরে
আমি দেখেছি মানুষের হাতে গড়তে দেবতারে।
অন্যায় আর অবিচারের কালিমা বুকে নিয়ে
আকাশ এখানে মাথা তুলে দাঁড়াতে ভুলে গেছে।
সব সকাল রাতেরি মাঝে বিলীন হয় অবশেষে
মানুষ শুধু বেঁচে থাকে অন্য মানুষের মাঝে।

বিষাক্ত বাতাস চারদিকে…
আমাকে আঁকড়ে ধরে আছে আমার আত্মবিশ্বাস
বাস্তবতার আঘাতে ভেঙ্গে গেছে স্বপ্নগুলো,
রাতের অন্ধকারে চারদিকে এখন শুধু হাহাকার শুনি।

আমাকে ছেড়ে গেছে চলে আমার অতীত স্মৃতিগুলো
আমার দেহে আছে পড়ে অপমানের শত চিহ্ন,
এখনো আমি আছি বেঁচে যেন কৃত্রিম মানুষ হয়ে
আমার চারিধারে জ্বলছে আগুন আমারি জ্বালানো।

ইতিহাস (সময়+অদৃষ্ট)

ব্যান্ড :আর্টসেল

(সময়)
আজ আমি আলোছায়া আজ আমি অন্ধকার
সময়ের হারানো পথে আজ ভেঙেছে ঘুম চেতনার।
পৃথিবীর কোলাহল নির্জনে আপোষের এ বেঁচে থাকা
পেছনে ফেলে ইতিহাস যাবে না ভাঙা চার দেয়াল।
কুয়াশা ঢাকা স্বপ্ন আমার খুঁজে ফিরি ধুসর সীমানায়
বদ্ধ ঘরে আলোছায়ায় থমকে থাকি নির্জনতায়।
হয়নি পাওয়া কিছু আর শুধুই অন্ধকার
আজ আমিই এক শূন্যতা,
তবুও চেয়ে রই মুক্তির আশায় শান্তির আশায়।

(অদৃষ্ট)
বিধাতারই একটু ইশারায়
ভেঙে গেছে স্বপ্ন অসহায়,
পথিকের মত খুঁজে ফিরি
পথে পথে করুণা।
সত্য যা দেখ সবই
মিথ্যের মায়াজালে ঘেরা,
আমাদের সাথে ছলনা
অদৃষ্টের করা।

রাহুর গ্রাস

ব্যান্ড :আর্টসেল

শূন্যতায় এঁকেছি গভীরতা
দৃপ্ত নেশায় উন্মাদ স্বচ্ছতা
জানিনা জীবনের সেই সলতে কোথায়
ঝড়ো বাতাসেও প্রদীপ জ্বালায়
স্বপ্নঘোর এ ধরায়
মগ্ন এক বিলাসিতায়।

পাষণ্ড এ জীবনের কোথায় শেকল গাড়া?
ব্যর্থ ও শৃঙ্খলিত মনে তারই ছায়া,
পাপের দংশনে দংশিত এ রক্ত ধারা
শেষ প্রহরে শ্বাসরুদ্ধ রাহুর ছায়া।

স্বপ্নের ছায়ায় কারও উষ্ণতায়
ঝাপসা সুখে অশ্রু ঝরায়
অস্তমিত ঐ রবির শেষ আলোকছটাও বিলীন,
ক্লান্ত এক যুবা উদ্ভ্রান্ত মৌন-মলিন
দুর্ভোগের উপহাস কিসের শব্দে? কিসের উষ্ণতায় ?
ঘনঘোর আঁধার-কোলে ছোটে গন্তব্য শূন্যতায়.

মুখোশ

ব্যান্ড :আর্টসেল

মুখোশে আমায় যেমন দেখ
পরিচ্ছন্ন তোমার মত,
মুখোশে আমার শরীর ঢাকা
তোমার চোখেও মুখোশ আঁকা।

যতই মিথ্যের দেয়াল গড়ি
তোমার আমার চারিপাশে,
নিজের আয়নায় মুখোশবিহীন
পড়ে থাকি গল্প শেষে আমি।

জানালার ভেতরে বাহিরে
দুজন দেয়ালের কাছাকাছি যাই,
দেয়ালে বাঁধা সস্তা জীবন
নিজের আয়নায় একলা দাঁড়াই।

মুখোশে যাকে তুমি চেন
চেন না যাকে মুখোশ বিহীন,
আমরা দুজন সত্য পুরুষ
নিজের ভেতর দুজনেই পরাধীন।

শূন্যতায় প্রশ্ন থেকে দাঁড়ায় মনের খোলা ঘরে,
দেয়ালে চৌকাঠে আয়নায় কে সত্য? তুমি না আমি?

রূপকঃ একটি গান

ব্যান্ড :আর্টসেল

মনের ভেতর যুদ্ধ চলে আমার সারাক্ষণ
নেশার মতন থমকে থাকে ক্লান্ত এ জীবন।
ধ্বংস স্মৃতির পারে বসে আমার আহবান
দুঃখ ভুলে নতুন করে লিখছি তোমার এ গান।
মিছিল ভাঙ্গা নির্জনতায় দাড়িয়ে একা
আলোর নিচে অন্ধকারে স্মৃতির দেখা।
চার দেয়ালের শব্দগুলো এখন শুধুই ছাই
মেঘে ঢাকা শহরটাতে তুই কেবল নাই।

মনের ভেতর ভাঙ্গা গড়ার আদিম আয়োজন
শূন্যতায় ডুবে থাকে আমার সারাক্ষণ।
নিয়ম ভাঙ্গার মগজ জুড়ে এখন শুধুই ছক
তেপান্তরের নির্বাসনে হারিয়ে গেছে রূপক।


মনেই যুদ্ধ আমার নিজের সাথে লড়ি
স্মৃতির দেয়াল ছুঁয়ে হাজার মূর্তি গড়ি।
চোখের দেখায় যা দেখি আর হয়নি যা দেখা
অভিমানের নদীর তীরে দাড়িয়ে থাকি একা।

ভুল জন্মে কষ্ট আমার লেখার আপোষে
অদেখা এক স্বর্গ ভাসে অচেনা আকাশে।
মনের ভেতর যুদ্ধ এখন আমার সারারাত
অন্ধকারের কোলাহলে ধরেছি তোমারই হাত।

একলা ভীষণ আমার ঘরে স্মৃতির হাহাকার
আলোয় চাইছি নিভিয়ে দেব মলিন অন্ধকার।
মনের ভেতর যুদ্ধ চলে আমার সারাক্ষণ
মহাকালে মিলিয়ে গেলি হঠাৎ কখন।

পথচলা

ব্যান্ড :আর্টসেল

আমার পথচলা আমার পথে যেন বেলা শেষে আকাশ কার মোহে
আমার স্বপ্ন আমার সাথে যেন স্বপ্নে ফিরে আসে স্বপ্ন হয়ে,
খুঁজে পায় জীবনের তীর জীবনকে কোনো স্বপ্ন ভেবে।

আমি কার আশাতে ছুটে চলি পথে পথে
যেন তার মায়াতে বাঁধা পড়েছে জীবন যে,
কত সুখ কল্পনা, কত মিথ্যে প্রলোভন
কষ্টের প্রতিটি ক্ষণ শোনায় তার আহবান।

আমার আলোয় আলোকিত হতে চেয়ে আঁধারে মিলিয়ে
আমার স্বপ্ন আমার সাথে যেন স্বপ্নে ফিরে আসে স্বপ্ন হয়ে,
খুঁজে পায় জীবনের তীর, জীবনকে কোনো স্বপ্ন ভেবে।

আমি আজ নেই তবুও কত সুর ওঠে বেজে তোমার ওই গানের মাঝে
এই পথ গেছে মিশে আমার বেলা শেষে
স্বপ্ন ফিরে আসে পৃথিবীর দূর দেশে,
জীবনকে কোন এক স্বপ্ন ভেবে।

ভুল জন্ম

ব্যান্ড :আর্টসেল

আমি জন্মাতে দেখেছি জীবনের সব ভুলগুলো
জীবন ভুল নাও হতে পারে হয়তো সময় ভুল ছিল।
সময়ের ভুলে জীবনমঞ্চে অভিনয় করছি আমি
নষ্ট হচ্ছে স্বকীয়তা ক্রমশঃ নষ্ট হচ্ছি আমি।

তবুও চিৎকার যখন অর্থহীন আর্তনাদ
প্রতিবাদ কোন দুর্বোধ্য ভাষা
সবাই যখন আদিম উল্লাসে মত্ত
ভুল জন্ম তোমাকে জানাই বিদায়।

স্বপ্নমঞ্চে মেলানো যায় না জীবন
অলীক স্বপ্নে বদলায়না বাস্তবতা,
সময় বদলায়, বদলায় এ জীবন
ধীরে ফিকে হয়ে যায় আমার এ অস্তিত্ব।

ভুলের বেসাতি শেষ হয়ে যাক এবার
কষ্টে ডুবে থাকা নয় নয় আর হাহাকার,
আমার দ্বৈতসত্ত্বা করছে আজ অস্বীকার
সময় তাকিয়ে দেখ পরিবর্তন বাস্তবতার।

চোখের কোণে লেগে থাকা স্মৃতি,
ঘুমের মতন তীব্র ভালোবাসা,
আলিঙ্গনে নিমগ্ন শূন্যতা,
ভুলজন্মে আমার অসাড়তা।

অন্যসময়

ব্যান্ড :আর্টসেল

আর্তনাদে হিঁচড়ে পড়ছে বেদনা
হৃদয়ের কলুষতার বিষাক্ততা দুষিত করেছে আমায়,
সমাজের নিত্য চাপে গ্রাস করেছে আমাকে
গ্রহন লেগেছে স্বত্তায়।
আর্তনাদে হিঁচড়ে পড়ছে বেদনা
হৃদয়ের কলুষতার বিষাক্ততা দুষিত করেছে আমায়,
সমাজের নিত্য চাপে গ্রাস করেছে আমাকে
গ্রহন লেগেছে স্বত্তায়।

দাসত্বের দাস হয়ে ফিরছি বিবাগী পথিকের বেশে
বারে বারে একই ঠিকানায়,
বিবাগী পথিকের বেশে
বারে বারে একই ঠিকানায়।


মানুষ এগিয়ে যায় অন্যসময়ে,
আকাশ বদলে যায় অন্য আকাশে।

দেহের বায়ু ক্রমশ ফুরিয়ে
জীবনের চাহিদা কিছু বাকি রয়ে যায়,
হৃদয়ের পাখি এখনও বন্দী খাঁচায়
জীবনের সীমানা দূরে দেখা যায়,
মুক্তির সিঁড়ি পেরিয়ে কে বা কার দেখা পায়।

দাসত্বের দাস হয়ে ফিরছি বিবাগী পথিকের বেশে
বারে বারে একই ঠিকানায়,
বিবাগী পথিকের বেশে
বারে বারে একই ঠিকানায়।

বাংলাদেশ..স্মৃতি ও আমরা

ব্যান্ড :আর্টসেল

এখানে নত সময়ে বোবা শহর ফেটে পড়ে
বাকরূদ্ধ মানুষের রূদ্ধ ক্রোধে,
গ্রেনেডের নীরবতা থেমে আছে
কবে আবার মিছিল হবে?

স্বপ্নের অনাগত অদেখা জুড়ে
সময়ের বিপন্ন অস্থিরতা,
অন্ধ মানুষ পায়ে হেঁটে শহীদ স্মৃতির হিম মিনারে
তবুও আসে ভালবেসে।

এখানে বেড়ে ওঠে শহীদ মিনার,
পুস্প স্বদেশ স্বপ্নহীন একা আঁধার।

মৃত মানুষ অচেনা ভয়ে মাতৃভূমির ছায়াগারে,
বেঁচে থাকে গ্রেনেডের গ্রথিত গর্জনে।

তোমাদের ভুল শব্দে লেখা স্বপ্নগুলো জানালা বদ্ধ ঘরে,
বাতাসের অনাহারে বেঁচে আছে আহত বাংলাদেশ,
স্বাধীনতা লেগে আছে তবুও বিকেলের বৃদ্ধ রোদে
মানুষের মিছিলে আজও জেগে আছে মাথা তুলে শহীদ একুশে।

এখানে নত সময়ে বোবা মানব অন্ধ চোখে
শহীদ স্মরণ করে হেঁটে হেঁটে,
নিজের স্মৃতির অন্ধকারে ফিরে আসে,
ফিরে আসে…..

ছেঁড়া আকাশ

ব্যান্ড :আর্টসেল

ছায়ার বর্ণমালা আলোর কাছাকাছি আসে
আলোর রুদ্ধ আকাশ আঁকে মৃত্যু শূন্যতায়।
একা একা তবুও দূরের দূরত্ব ভেঙে

সকল স্মৃতির ছেঁড়া মেঘ ভাসে।

ছায়ায় আঁকা স্মৃতির ঘরে
ভয়ের মতন অন্ধকারে,
আলোয় আঁকা রুদ্ধ আকাশ
মৃত্যু এঁকে রাখে।

তবুও ঘড়ির বদ্ধ সময়
শরৎ খোঁজে নীল আকাশে,
স্মৃতির পায়ে শেকল বেঁধে
সময় দাঁড়ায় শরীর ঘেঁষে।

সরব শব্দ সুরে অরব শূন্যতা ভাঙে
মানুষ মৃত ত্রিমাত্রিক বোধে ছায়ার সারথি গড়ে,
সবুজ পৃথিবীর হাজার শহর শেষে
একা মানব মুখোশ বেঁচে থাকে।

ছায়ায় আঁকা স্মৃতির ঘরে
ভয়ের মতন অন্ধকারে,
আলোয় আঁকা রুদ্ধ আকাশ
মৃত্যু এঁকে রাখে।

তবুও ঘড়ির বদ্ধ সময়
শরৎ খোঁজে নীল আকাশে,
স্মৃতির পায়ে শেকল বেঁধে
সময় দাঁড়ায় শরীর ঘেঁষে।

ছায়ায় আঁকা স্মৃতির ঘরে
ভয়ের মতন অন্ধকারে,
আলোয় আঁকা রুদ্ধ আকাশ
মৃত্যু এঁকে রাখে।

নির্মর ভাবনার পাথর ঘরে
যুদ্ধ আসে যুদ্ধ আসে,
মানুষ মুখোশ অগোচরে
আলো দিয়ে ছায়া আঁকে।

ছায়ার বর্নমালা ছায়ার কোরাসে
যুদ্ধ আসে যুদ্ধ আসে,
কাঁটাতারে ছেঁড়া আকাশ বিঁধে আছে
স্বপ্নজুড়ে কে মৃত্যু এঁকে রাখে?

স্বপ্নের কোরাস

ব্যান্ড :আর্টসেল

তোমার চেতনায় আজ সাগরের পদধ্বনি
অতীত ঘুরে এসে বিচূর্ণ আজ তোমার নীল আকাশ,
তোমার ভাবনার চেনা অচেনা পথে কাঁটাতার ব্যারিকেড
সামরিক পদাঘাতে ধর্ষিত আজ তোমার বিবেক।

স্বপ্ন দেখ অন্ধ চোখে…

তোমার গানের মৃত শরীর
পড়ে থাকে গভীরতায় মুখ থুবড়ে স্বপ্নের মৌনতায়
সামরিক বেয়নেটে বিকলাঙ্গ আজ তোমার বিবেক।

চিৎকার কর নিরুচ্চারে..

তোমার আকাশে তবুও অনেক গাঙচিল
যাদের বুকে বৃষ্টি
তোমার চেতনায় সামরিক পদধ্বনি।

বিবেকের দরজায় কড়া নাড়ে কারা?

চিলে কোঠার সেপাই

ব্যান্ড :আর্টসেল

যা দেখ যা দেখনা
ভাঙ্গে যত অনুভূতি চেনা অচেনা,
তোমার অনাগত সম্ভাবনায় জমে
ঘুণপোকার আর্তনাদ।

তোমার নীল আকাশ শূন্য চোখে চেয়ে থাকে
অন্ধকার দেয়ালে,
তোমার আলো জন্ম দেয়
মিথ্যে ছায়াকে সম্মোহিত সময়ে।
তোমার জানালায় নীল আকাশ
আঁধারে নয় আলোতে ভয় দৃশ্যগুলো শব্দময়
শূন্যতার ভিড়ে হারিয়েছে স্তব্ধ সময়
স্বপ্নময় ঘুমে নয় শব্দগুলো দৃশ্যময়
শূন্যতায় নির্বাসিত রয় স্তব্ধ সময়।


ছায়াদের বাঁধা চোখে চোখে ফেরে
সময়ের নির্বাসিত নীল আকাশ,
অন্ধকার ভেঙে গড়ে আজ
শব্দ করে এই ইতিহাস।

তোমার নীল আকাশ শূন্য চোখে চেয়ে থাকে
অন্ধকার দেয়ালে,
তোমার আলো জন্ম দেয়
মিথ্যে ছায়াকে সম্মোহিত সময়ে।
তোমার জানালায় নীল আকাশ
আঁধারে নয় আলোতে ভয় দৃশ্যগুলো শব্দময়
শূন্যতার ভিড়ে হারিয়েছে স্তব্ধ সময়
স্বপ্নময় ঘুমে নয় শব্দগুলো দৃশ্যময়
শূন্যতায় নির্বাসিত রয় স্তব্ধ সময়।

তোমার মৃত শব্দের দৃশ্য আজও ওড়ে,
বাতাসে বিগত সময় শব্দ করে।
ভুলের চেনা শরীর চেনেনি তোমাকে,
এখানে কে দাঁড়ায় ছায়ার মিছিলে?

একই শরীর একই সময়
কেন তবুও এই পথের শেষে জড় অনুভূতি?
কেন মেঘে ঢাকা পড়ে ছেঁড়া আকাশ?

আঁধারে নয় আলোতে ভয় দৃশ্যগুলো শব্দময়
শূন্যতার ভিড়ে হারিয়েছে স্তব্ধ সময়
স্বপ্নময় ঘুমে নয় শব্দগুলো দৃশ্যময়
শূন্যতায় নির্বাসিত রয় স্তব্ধ সময়।

অস্তিত্বের দিকে পদধ্বনির সম্মোহন

ব্যান্ড :আর্টসেল

ক্ষত-বিক্ষত পৃথিবীটা বধির অস্ত্রের উচ্চারনে মুখরিত নির্জীব
পড়ে থাকো তুমি দেয়ালের পদতলে,
যদি তুমি আপোষ কর
পিছু হটা পদধ্বনি ক্রমাগত সরে আসে
নিঃসঙ্গ সম্ভাবনার দিকে,
দ্রুতগতির নিঃসঙ্গ ট্রেন।

ক্ষত-বিক্ষত পৃথিবীটা স্বপ্নহীন সম্মোহনে বিষণ্ণ নীল
পড়ে থাকো তুমি সময়ের পদতলে,
যদি তুমি আপোষ কর
সময়ের ক্লান্ত শরীর ক্রমাগত সরে আসে
নিঃসঙ্গ সম্ভাবনার দিকে,
দ্রুতগতির নিঃসঙ্গ ট্রেন।


তোমার অস্তিত্বের জিজ্ঞাসা নিয়ে ছোটে আগামীর শূন্যতায়
যদি তুমি উঠে আসো শৃঙ্খলিত মিছিল ভেঙ্গে।
এখানে শুধু বাকরুদ্ধ দেয়াল
দেয়ালে তোমার আমার করুণ ক্রীতদাস ছায়া,
ছায়ার শরীর।

অশরীর তুমি পরাজিত জীবনের অচেনা নায়ক উঠে এসো আজ
তোমার রুদ্ধদ্বার অন্ধকার হতে অস্তিত্বের মৃত প্রাণ,
আবার উচ্চারিত হোক সময়ের বধির দেয়ালে।

অপ্সরী

ব্যান্ড :আর্টসেল

আমি কার ভুলে ছিলাম ভুলে
এক রক্তমাংসের অপ্সরী,
খুঁজে ফিরি অপুর্ণতায় পূর্ণতা
জীবনের সাথে লুকোচুরি।

মনে পড়ে তুমি ছিলে পাশে
এখনও যেভাবে আছো জড়িয়ে,
তবুও নীরবে তোমায় স্মৃতিচারণ
সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে।


তুমি এলে উৎসবে সাজবে নতুন আকাশ,
বাতাসে ভাসবে অজানা অবাক উল্লাস,
তোমার ভেতর জন্ম নেব আমি
মুছে ফেলে দু’জনার আলাদা নিঃশ্বাস।

তুমি আমার জন্য এনেছিলে স্বর্গ
শোনাতে নতুন কোন মুর্ছনা,
তুমি অবাক নিঃশ্বাসে গিয়েছিলে বলে
পৃথিবীর ওপারে আরেক পৃথিবী।

আমার নিঃশ্বাসে ছিল মিথ্যে আগুন
চেতনায় কত মিথ্যে অসীমতা,
অতৃপ্তি নিয়ে সাজাতে সুখের জীবন
জন্মান্তরের ভুলে ছিল স্বাধীনতা।

দুঃখ বিলাস

ব্যান্ড :আর্টসেল

তোমরা কেউ কি দিতে পারো
প্রেমিকার ভালবাসা?
দেবে কি কেউ জীবনে
উষ্ণতার সত্য আশা?

তোমরা কেউ কি দিতে পারো
প্রেমিকার ভালবাসা?
দেবে কি কেউ জীবনে
উষ্ণতার সত্য আশা?


ভালবাসার আগে
নিজেকে নিও বাজিয়ে,
আমার মনের মত
নিও সাজিয়ে।

আমি বড় অসহায় অন্যপথে
একটি নাটকই দেখি,
মহাকালের মঞ্চে।

ও আমায় ভালবাসেনি
অসীম এ ভালবাসা ও বোঝেনি,
ও আমায় ভালবাসেনি
অতল এ ভালবাসা তলিয়ে দেখেনি।

তোমরা কেউ কি করবে
আমার জন্য অপেক্ষা?
ভালবাসবে শুধুই আমায়
করবে প্রতিজ্ঞা?

তোমরা কেউ কি করবে
আমার জন্য অপেক্ষা?
ভালবাসবে শুধুই আমায়
করবে প্রতিজ্ঞা?

ভালবাসার আগে
নিজেকে নিও বাজিয়ে,
আমার মনের মত
নিও সাজিয়ে।

আমি বড় অসহায় অন্যপথে
একটি নাটকই দেখি,
মহাকালের মঞ্চে।

ও আমায় ভালবাসেনি
অসীম এ ভালবাসা ও বোঝেনি,
ও আমায় ভালবাসেনি
অতল এ ভালবাসা তলিয়ে দেখেনি।

এত ভিড়েও আজও আমি একা
মনে শুধুই যে শুন্যতা,
এত ভিড়েও আজও আমি একা
মনে শুধুই যে শুন্যতা,
আঁধারে যত ছড়াই আলো
সবই আঁধারে মিলায়,
ও যে কোথায় হারালো
ব্যাথা কাকে যে শুধাই?

অদেখা স্বর্গ

ব্যান্ড :আর্টসেল

এই ঘরে ফেরা
নিজেকে ফিরে দেখা আয়নাতে
কার মায়ায়?
আঁধারে আলোছায়া আমার সাথে চলে
তোমাকে নিয়ে একা।

অজানা যে আকাশে ওড়ে
অদেখা কোনো স্বর্গ আমার,
না পাওয়া তবুও পথ দেখায়
আশাতে হতাশা ভোলায়।


যতবার জন্মেছি তোমারই আশাতে,
ততবারই আমার এ ফিরে চলা,
দূর থেকে দেখা আমার ভালবাসা।

অজানা যে আকাশে ওড়ে
অদেখা কোনো স্বর্গ আমার,
না পাওয়া তবুও পথ দেখায়
আশাতে হতাশা ভোলায়।

আমার ঘৃণা তোমাকে পোড়াবে না
দেখাবে স্বপ্ন,
আমার দুঃখ তোমারই আকাশে
মেঘ হয়ে কাঁদবে না,
আমার ফেলে আসা দুঃস্বপ্নের রাত
যত কষ্টের স্মৃতি,
তোমার জন্য বাঁচতে শেখাবে
মৃত্যু হয়ে ছোঁবে না,
কত মিথ্যে অভিনয়ে গড়া
এ জীবন অচেনা ছোঁয়ায়।

অজানা যে আকাশে ওড়ে
অদেখা কোনো স্বর্গ আমার,
না পাওয়া তবুও পথ দেখায়
আশাতে হতাশা ভোলায়।

লীন

ব্যান্ড :আর্টসেল

লীন জড়তায় নীল আকাশে
ঝড় বাঁধা পড়ে ভাঙা মানুষে..

ভিজে সময় একা আঁধারে
ভেসে গেছে রোদের রেখা
ভেসে গেছে রোদে ভেসে গেছে..

দূর বহুদূর থেমে থাকা আকাশে-
লীন আকাশে,
সাদাকালো মেঘ ভেসে যায় হারিয়ে-
নীলে হারিয়ে,
ধুলো জমা স্মৃতি উড়ে যায় বাতাসে-
ঝড়ো বাতাসে,
ঝড় বাঁধা পড়ে ভাঙা মানুষে।

স্মৃতির স্মারক

ব্যান্ড :আর্টসেল

তোমার ঘরে যত কথায় যত সুরে
আমাদের এ জ্ঞানের শহর শব্দ করে,
আলো ভেঙে অন্ধকারের মাঝে ফিরে যেতে
পুরনো সেই দিনের কথায় স্বপ্নাগারে।

তোমার ভিড়ে যত আলোয়
তবুও নিভে পড়ে আছি আমরা যারা,
অতীত হয়ে তোমার ঘরে
কথায় সুরে ইচ্ছে করে ফিরতে,
পুরনো সেই দিনের কথায় স্বপ্ন হয়ে তোমায় ছুঁতে,
আমার ভেতরে অতীত ধরে হেঁটে হেঁটে ইচ্ছে করে হারাতে।


তোমাদের কাছে হাজার শব্দে ভেসে
আমরা এসে আজ ভিড়ে মিলে মিশে,
তবুও ঝড়ের বদ্ধঘরে
শব্দ ভেঙে ভেঙে অতীত ছায়া স্পর্শ করে।

চেনা চেনা চোখে ছায়া-রং হারিয়ে যায়,
নিভিয়ে দেয় সময় কত স্মৃতি,
তবুও আমি তোমায় খুঁজে পেতে চাই
পুরনো সেই দিনের সুরে ফেলে আসা রূপকে।

গানের আমি তুমি হারিয়ে যাব
মেঘের পরে মেঘে স্মৃতির ঘরে
সময় ভেঙে ভেঙে ভেঙে
অন্য রোদের অন্য সময়ে…

পাথর বাগান

ব্যান্ড :আর্টসেল

সমাধির বিশাল প্রান্তরে একা জেগে
আমাদের তথাকথিত সভ্যতার যীশু,
ধার করা কবিতার শ্যাওলা মাখা স্মৃতির পাথরে
মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে এ মূল্যবোধ।

সাদা ক্রুশের মিছিল জুড়ে মিথ্যে অহংকার ভুল
নায়কের ছদ্মবেশে নেয় নিঃশ্বাস,
সম্মোহিত মৃত প্রজন্ম ফিরে আসে
ফিরে আসে জন্মান্তরের বিবর্তনে।

আড়ালে হেসে যায় যুদ্ধের দেবতা
ধ্বংসের সুর তোলে আবারও,
পৃথিবীর বুকে আবাস গড়ে
নতুন কোনো পাথর বাগান।

তোমাদের পাথর বাগানের সবুজ ঘাসে
মিশে থাকে কত যুগের নষ্ট গল্প,
কত পতাকার রঙ ধুয়ে যায় অভিশাপে
আকাশের সাদা অনুভুতিতে শুধু ঘৃনা।

শহীদ স্মরণী

ব্যান্ড :আর্টসেল

ভোর হোক তোমার জানালায়
ভোর হোক ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া শহরে,
শহীদ স্মরণীর পীচঢালা পথে
রৌদ্র আসুক আশাবাদী অক্ষর হয়ে,
বেঁচে থাকার উৎসাহে তোমার রাইফেল বিনীত হোক
মানুষের অনন্তকালের ইতিহাসের পায়ে।

তোমার স্থল-মাইন আবাদি মাটির প্রাণরসে ভিজে কান্নাসিক্ত পৃথিবী হোক…

তোমার জানালায় মৃত শিশু পড়ে থাকে যুদ্ধাহত সময়ের বাসি রোদ
কবির মত দুস্থ উদার হোক তোমার ব্যারাকে ব্যবহৃত প্রতিটি সৈনিক হৃদয়…

তোমার বিনিদ্র প্রহরার রাত
শব্দ পাক মানুষের গরাদ ভাঙার,
ভোর হোক তোমার অন্ধ চোখে
যুদ্ধের অহর্নিশ ধ্বংসস্তূপ ইতিহাস…..

তোমাকে

ব্যান্ড :আর্টসেল

তোমাকে আলো ভেবে চোখ চেয়ে থেকেছি আঁধারে
নীরব থেকে ডেকেছি আমার একা নির্জনে,
স্বপ্নগুলো হারিয়ে ফেলে চেয়েছি যেতে তোমার আলোতে…

তোমাকে যখনই চেয়েছি সত্তার অন্তরালে সঙ্গোপনে
তখনই জেনেছি আলো হয়ে আছো তুমি আমার আঁধারে,
আর যখনই ভেবেছি বাঁধবো সীমা চারপাশে তোমাকে ঘিরে
তখনই ফেলেছি হারিয়ে তোমাকে আপন আঁধারে।

যেখানে স্বর্গ ভাসে
তোমার আমার আকাশ সেখানে অন্য রঙে আঁকা আয়নায় মৃত জলছবি,
সেই ছবিতে অন্ধ কবি আমি (এক) হাতড়ে ফিরি আলোর সিঁড়ি।

অনিকেত প্রান্তর

ব্যান্ড :আর্টসেল

তবুও এই দেয়ালের শরীরে-
যত ছেঁড়া রঙ, ধুয়ে যাওয়া মানুষ, পেশাদার প্রতিহিংসা,
তোমার চেতনার যত উদ্ভাসিত আলো-
রঙ আকাশের মতন অকস্মাৎ নীল,
নীলে ডুবে থাকা তোমার প্রিয় কোন মুখ,
তার চোখের কাছাকাছি এসে কেন পথ ভেঙে…

দুটো মানচিত্র এঁকে দুটো দেশের মাঝে,
বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ…

তবুও এইখানে আছে অবলীল হাওয়া
জানালা বদ্ধ ঘরে আসে যায়,
দেয়াল ধরে বেড়ে ওঠে মধ্যরাত
তোমার ছায়ায় জমে এসে ভয়।
আলোকে চিনে নেয় আমার অবাধ্য সাহস,
ভেতরে এখন কি নেই কাপুরুষ অন্ধকার একা?
তোমাকে ঘিরে পথগুলো সব সরে যায়
রাত্রির এই একা ঘর ঝুলে আছে শূন্যের কাঁটাতারে…

দুটো মানচিত্র এঁকে দুটো দেশের মাঝে
মিশে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ…

তবুও এই দুটি কাঁটাতার এ শহরের মত করে ভিড়ে ভরে গেছে,
ঘুম আমার অচেতন কখন বেওয়ারিশ মাটির কাছে এসে
সময় কে এপিটাফ ভেবে হাঁটু গেড়ে বসে…

তবুও এখানে বাতাস আসে দুরত্বের উৎসাহে
শরৎ জমে আছে ঠাণ্ডা ঘাসে,
তোমার চোখের মাঝে দূরের একা পথ
এখানে ভাঙে না দুটো দেশে।
মেঘের দূরপথ ভেঙে
বুকের গভীর অন্ধকারে আলোর নির্বাসন,
স্মৃতির মতন অবিকল স্বপ্নঘর বাঁধা স্মৃতির অন্ধ নির্জনে
সময় থেমে থাকে অনাগত যুদ্ধের বিপরীতে।

এখানে সরণির লেখা নেই নাম কোন শহীদ স্মারকে
তোমার জন্য জমা থাকে শুধু স্বপ্নঘর,
জানালায় ঝুলে থাকে না শূন্যতার অবচেতন
তোমার ঘরের অন্ধ আলোয় অদেখা এখানের নির্জন অনিকেত প্রান্তর..

তবুও তোমার ভাঙা স্মৃতি, ছেঁড়া স্বপ্ন, দোমড়ানো খেলাঘর-
ছেঁড়া আকাশ, ভাঙা কাঁচে আলো আর অন্ধকার তোমার
তোমার দেয়ালে কত লেখা,
মানুষের দেয়ালে দেয়ালে বেঁড়ে ওঠে কাঁটাতার
এখানে এ মহান মানচিত্রের ভাগাড়।

তোমার শূন্যঘরে ভরা স্মৃতি,
জড় পাথরে লেখা নাম – শহীদ স্মরণী।
জানালার বাইরে ভেসে গেছে দূরের আকাশ,
বিঁধে আছি সময়ের কাঁটাতারে,
বিঁধে আছো ছেঁড়া আকাশের মত তুমি..

তোমার স্বপ্নের দলা পাকানো বাসি কবিতা নষ্ট করে
তোমার জানালার বাইরে শূন্য আকাশ তবুও অনিকেত এই প্রান্তরে..
এখানে এখনও শরতের প্রচুর বাতাসে,
সবুজের ঘ্রানে ভরে আছে অন্ধকার এ ঘর
তোমার দেয়ালে এখন শুধু মৃত্যুর মৃত রেখাপাত…

তোমাকে কড়া নাড়ে স্মৃতিরা, ভাঙা স্বপ্ন
ঘুমের মত নেশাময় কত কত শিশু,
কত আলোর মশাল নিভে গেছে
নিভে গেছে কত অচেনা ভয়।

তোমাকে এখন অপরিণত এক অচেনা স্মৃতি মনে হয়
তোমার জানালার বাইরে শূন্যে দূরের স্বপ্নঘর,
ঝুলে আছি নির্জনতায়,
মৃত্যু কি অনিকেত প্রান্তর?

গন্তব্যহীন

ব্যান্ড :আর্টসেল

আবার দেখা দেয় আলো
অন্ধকারের আছে নিজস্ব শরীর,
আলোর স্বপ্নগুলো লেখা আছে হাজার বছরের গায়,
আলোর পৃথিবী কোথায়??

ভাবনার রুদ্ধ ঘরে একা বসে ভাবি,
অন্ধকার দূরের দিকে খুঁজি তোমাকে।
ভাবনার রুদ্ধ ঘরে একা বসে ভাবি,
অন্ধকার দূরের দিকে খুঁজি তোমাকে।

আকাশের শেষে কি থাকে?
কোথায় পড়ে আছে আমার শরীর?
অন্ধ চোখে আলো কি শরীর পায়?
এখানে আমি বিকলাঙ্গ পাথর।

তোমার সাজানো দৃশ্যে হাঁটছি গন্তব্যহীন,
সম্মোহিত সময়ে রাত্রির নক্ষত্রকে খুঁজি অসীম শূন্যতায়,
এখানে পড়ে থাকে পাথরের মত স্থবির মানুষ শেখানো বর্ণনায়।

দৃশ্যকে ভাবি পৃথিবী,
স্বপ্নকে ভাবি তুমি,
মৃত্যুকে মনে হয় গভীর ঘুম,
আঁধারকে ঈশ্বর ভাবি।
দৃশ্যকে ভাবি পৃথিবী,
স্বপ্নকে ভাবি তুমি,
মৃত্যুকে মনে হয় গভীর ঘুম,
আঁধারকে ঈশ্বর ভাবি।

সকল আলোর প্রথম উৎস কি অনিশ্চিত আঁধারে?

আকাশের শেষে কি থাকে?
কোথায় পড়ে আছে আমার শরীর?
অন্ধ চোখে আলো কি শরীর পায়?
এখানে আমি বিকলাঙ্গ পাথর।

তোমাকে এঁকেছি প্রতিটি দৃশ্যের রেখাবৃত্তের মাঝে,
তোমার স্বপ্নকে আমি দিয়েছি প্রাণ,
আমার স্বপ্নে তোমার করাঘাত।

নিজেকে হয়না চেনা আজও
শুধু নেমেছি অতলে,
এখানে একা বসে কতকাল?
মৃত রাত্রিকে ডেকে দেয় বীভৎস আমার মুখ,
অশরীর আমি-
নিজেকে আজও ভয়।

ঘুনে খাওয়া রোদ

ব্যান্ড :আর্টসেল

চারটি দেয়াল ক্রমশ
সরে আসে বৃত্তের ভেতরে,
কমে আসে আলো
বস্তুর চারিপাশ এখন নীরব।

রঙ মূলত সাদা কালো..
অন্ধকারের ছায়া অপছায়া বোধ
অথবা খয়েরী নীল আকাশ-
অনেকটা ঘুনে খাওয়া রোদ
লেগে থাকে আকাশের গায়,
সময়ের রঙহীন ক্যানভাস
আমার জানালায়।

স্বপ্ন এখন এগারো সাতাশ
শুন্যের ওপর দেখো,
দেখো দাঁড়ায় সম্মোহিত শহর
বাতাসের চোখে আজ..
চোখে আজ নেশার উৎকট আলো।

রঙ মূলত সাদা কালো..
অন্ধকারের ছায়া অপছায়া বোধ
অথবা খয়েরী নীল আকাশ-
অনেকটা ঘুনে খাওয়া রোদ
লেগে থাকে আকাশের গায়,
বিবর্ণ সময়ের জানালায়।

আজ ঘুনে খাওয়া রোদ..
আমার শরীর মানে আমি ও ছায়া,
ছায়া মানে মৃত রোদ আত্মহুতি দেয়
তাদের আলোর যৌবন সারাক্ষণ,
মেঘে মেঘে ঢাকা পড়ে চেনা অচেনা কত মুখ,
ছায়ার শরীর-
ছায়ায় বাঁচে আলোর ভয়,
জানালায় আজ ঘুনে খাওয়া রোদ…..

ধূসর সময়

ব্যান্ড :আর্টসেল

নোনা স্বপ্নে গড়া তোমার স্মৃতি
শত রঙে রাঙিয়ে মিথ্যে কোন স্পন্দন,
আলোর নীচে যে আঁধার খেলা করে
সে আঁধারে শরীর মেশালে…

নোনা স্বপ্নে গড়া তোমার স্মৃতি
শত রঙে রাঙিয়ে মিথ্যে কোন স্পন্দন,
আলোর নীচে যে আঁধার খেলা করে
সে আঁধারে শরীর মেশালে…

আজ আমি ধূসর কি রঙিন সময়ে পথ হারাই তোমাতে।

জীবনের কাঁটাতারে তুমি অন্তহীনের অপূর্নতায়,
বেওয়ারিশ ঘুড়ি উড়ে যাও অনাবিল আকাশের শুন্যতায়।

তবুও আমি…

কি খুঁজি মানুষের বিষাদের চোখে
কোথায় আলোর উত্সবে স্বপ্নের প্রতিবিম্ব ভাঙে,
একা একা আমি থাকি দাঁড়ায়ে
স্মৃতির ঝরো বাতাসে দুজনার শরীর মেশায়ে।

আজ আমি ধূসর কি রঙিন সময়ে পথ হারাই তোমাতে।

জীবনের কাঁটাতারে তুমি অন্তহীনের অপূর্নতায়,
বেওয়ারিশ ঘুড়ি উড়ে যাও অনাবিল আকাশের শুন্যতায়।

জীবনের কাঁটাতারে তুমি অন্তহীনের অপূর্নতায়,
বেওয়ারিশ ঘুড়ি উড়ে যাও অনাবিল আকাশের শুন্যতায়।

তবুও আমি…..

16 November 2011

শহরের কথা

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

শহরের কথা উঠলে একটা জনসমুদ্র চলে আসে,
রাস্তা মানেই অবারিত নদী,
গনমানুষের জোয়ার ভাটার টানে ব্যস্ততা আর
ঘরে ফেরা নিয়ে যদি……
গান লেখা হয়,
গানের শরীরে শহরের ছবি ভাসে।

শহর মানেই আমরা একটা গণআদালত বুঝি,
শহুরে ক্লাউন গাছগুলো জুরি,
সংস্কৃতির বেদম বিচার জানে
জোছনা রাতে চাঁদের চরকা বুড়ী,
বিচারে রায়ে আমরা সবাই হাত পা হৃদয় খুঁজি।

জনসাধারন শহরের যত খাদ্য গুদাম চেনে
ব্যাংকগুলো সব যৌথখামার;
সাদা কালো নোট চাষাবাদের মানে
বেঁচে থাকার ইচ্ছে তোমার আমার।
শহুরে আড্ডা, শহুরে ভাষা
শহরের কথা জানতে আসা
শহুরে লোকের সবই জানা
শহর মানেই চিড়িয়াখানা।
শহুরে শিল্পী ভারী চৌকষ
শিল্পের ঝোপঝাড়ে আপোষ
নাটক কবিতা ছোট ছোট সুখ
শহর মানেই ভেঙ্গে যাওয়া বুক।

রাস্তায় একফালি নিঃশ্বাস
অন্ধ শহরে ছুটে চলা বাস
হাউজিং জ্যামে আকাশ অল্প
শহর মানেই গ্রামের গল্প।

শুভ্র রঙ্গীন

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

শুভ্র রঙ্গীন,
আকাশের দিন,
তোমায় সেই জনতার গল্প শোনায়।

অলস দুপুর
ক্লান্ত নুপুর,
স্বপ্ন দেখায় তারায় তারায়।

স্বপ্ন দেখি
সবুজ নিশান
তোমায় নিয়ে জলসা দেখা।
লড়াই যেমন
ঝড়ের রাতে
হেরে গেলেও বাঁচতে শেখা।

শুভ্র রঙ্গীন,
আকাশের দিন,
তোমায় গল্প শোনায় সেই জনতার।
লড়াই শেখায়
তোমায় আমায়,
“come on baby light my fire”

তোমায় দেখে
কাঠবেড়ালী,
লেজ উঁচিয়ে আদর চায়।
গোধূলী নাচে
রাঙ্গা আলোয়
বাঁচার নেশায়, মুক্তি পায়।
মুক্তির দিন,
রঙ্গিন রঙ্গিন
মেলে পাখা, জেগে থাকা
আগুন রঙ্গিন
রক্তের দিন
তোমায় নিয়ে বাঁচতে শেখা।
শুভ্র রঙ্গীন,
আকাশের দিন,
তোমায় গল্প শোনায় সেই জনতার।
লড়াই শেখায়,
তোমায় আমায়
“come on baby light my fire.”

হয় না

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

হয় না আর এমনতো হয় না
নদীর বুকে বৃষ্টি ঝরে, পাহাড় তারে সয়না।

সূর্য লাল বৃক্ষ সবুজ,
আমি কান্দি ঘরের কোনায়, তুমি অবুঝ।
বৃক্ষ আকাশ সূর্য মিলে
ঝরনার কথা কয় না,
নদীর বুকে বৃষ্টি ঝরে, পাহাড় তারে সয়না।

মেঘ কালো আঁধার কালো
মৃত্যুর বুঝি মরন হলো।
উদাস আকাশ, উত্তাল বাতাস
পথের বাঁকে রয় না
নদীর বুকে বৃষ্টি ঝরে, পাহাড় তারে সয়না।

মেঘের নৃত্য তারার মেলা
সোঁদা মাটি রাঙ্গা আলোয় বৃষ্টির খেলা।
তোমার অশ্রু আমার চলা
একতারেতে রয় না
সাগর জলে ঝরনার চলন মনের কথা কয় না।

লাল নীল গল্প

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

এখনই সময়
পাড়ি দিতে দিগন্ত
কত দূর যেতে হবে?
সীমানা অজানা
অচেনা পথে
কত দূর যেতে হবে?
যেতে পার তোমরাও
যেতে পার বহুদূর
জেনে যাও নিশ্চিত পরাজয়
বহুদূর সীমানায় লাল নীল গল্পে
নাগরিক সঙ্কট ছাড়বে না তোমায়।

লাল নীল গল্পে তোমাদের দেখা যায়
তোমাদের পরাজয় আমাদের গল্প হয়ে যায়।
গল্পে তোমারাও যেতে পার সীমানায়
সীমানার সংঘাত ছাড়বে না, ছাড়বে না তোমায়।

লাল নীল লাল গল্পে
ছন্দে গল্পে যাবে যদি অজানায়
যেতে পার তুমি, সঙ্গী রাজপথ
যাবে যদি সীমানায়
বন্ধু তুমি জানো যেতে হবে কত দূর
কত দূর বহুদূর
যেতে হবে কতদূর?

যেতে পার তোমরাও
যেতে পার বহুদূর
জেনে যাও নিশ্চিত পরাজয়
বহুদূর সীমানায় লাল নীল গল্পে
নাগরিক সঙ্কট ছাড়বে না তোমায়।

লাল নীল গল্পে তোমাদের দেখা যায়
তোমাদের পরাজয় আমাদের গল্প হয়ে যায়।
গল্পে তোমারাও যেতে পার সীমানায়
সীমানার সংঘাত ছাড়বে না ছাড়বে না তোমায়।

নিশ্চুপ আঁধারে

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

উড়তে কি পারো বন্ধু আমার?
ধরতে কি পারো তুমি মেঘের জল?
গাইতে কি পারো তুমি আমার গান?

শুনতে কি পারো তুমি আমার কান্না?
দেখতে কি পারো নিঃস্ব প্রাতে
নিঃসঙ্গ মোর একলা চলা ।

ভাসতে কি পারো তুমি আমার সুরে
বুঝতে কি পারো তুমি আমার কথায়?
মিথ্যার বেসাতিতে তোমার জগৎ ।

র্স্পশ করো তুমি আমার কষ্ট
মেঘদল হতে আনো সূর্য সকাল
গেয়ে ওঠো মোর সাথে আমার গান ।
আমি তাকিয়ে রই, নীল আদিগন্ত
মানুষ ভরা খোলা প্রান্তরে,
আর চেয়ে দেখি, তোর খোলা চুলে
ভেসে যায় আমারই স্বপ্নগুলো ।
নিশ্চুপ আঁধারে।

তুই উড়িয়ে যা তোর ফানুস, যত ইচ্ছে সাজা মেঘমালা
তুই চেয়ে দেখ কত মানুষ, পথে নেমে ভুলে যা কষ্ট
তুই উড়িয়ে যা তোর ফানুস, তুই বেঁচে থাক নিয়ে আশা
তুই দেখ তোরই মত মানুষ, তুই গেয়ে যা তারই ভাষায়
আমি তাকিয়ে রই খোলা প্রান্তরে, তুই যা, যা ভুলে যা সবই ।

উড়তে কি পারো বন্ধু আমার?
ধরতে কি পারো তুমি মেঘের জল?
গাইতে কি পারো তুমি আমার গান?

ভাসতে কি পারো তুমি নীল জোছনায়?
শুনতে কি পারো মোর প্রিয়ার ঠোটে?
অচেনা আলোর এক মুক্ত বয়ান ।

ভাঙ্গতে কি পারো তুমি দেবতার ঘুম?
দেখতে কি পারো তুমি আমার চোখে?
অক্ষম চিৎকারে বাঁচার নেশা

অগ্নিকন্ঠ হোক তোমার শব্দ
অতল নরকে সাজো তোমার বাসর
গেয়ে ওঠো মোর সাথে আমার গান ।

সুপ্রভাত

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

একদিন হাঁটছি আমরা ক’জন
আমাদের কেউ কেউ উচ্ছাসে, এই শুভ্র সকালে
ধুলোমাখা পথঘাট, ধুলোমাখা শরীর
ধুলোয় ধূসর আমরা ক’জন
এই সকালে, রাস্তায় হাঁটছি ……

সুপ্রভাত একদিন আমাদের ……

দ্বিধাহীন ভোর আসে, ফুটপাতে
ধুলোময় দোকানে খবরের কাগজে ……
খেয়ালী কোলাহলে জমে ওঠে
শহরের রাজপথে যান্রিক কোন সুরে
এই ঝড়ো সংলাপে,
এই সুপ্রভাত, রুক্ষ চায়ের কাপে ……

একদিন হাঁটছি আমরা ক’জন
আমাদের কেউ কেউ উচ্ছাসে, এই রোদেলা দুপুরে
ধুলোমাখা পথঘাট, ধুলোমাখা শরীর
ধুলোয় ধূসর আমরা ক’জন
ঠিক দুপুরে, রাস্তায় হাঁটছি ……

সুপ্রভাত একদিন আমাদের …..

পরিচয়

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

দেহের ভিতর রাখলাম যারে, সে আমার থাকল না রে
খাঁচার পাখি কখন কি আর
মনের পাখি হয় ?
তোমার আমার এই পরিচয়
সত্যি কি আর হয়।

কথায় কথায় মনের ছায়া, মিথ্যে আশায় দিচ্ছে মায়া
অবাক আলোয় বনের পাখি, মনের কথা কয়
বনের পাখি খাঁচায় থাকে, এমন কি আর হয়
তোমার আমার এই পরিচয়
সত্যি কি আর হয়।

লালন বলে খাঁচার কি দোষ, দুয়ার থাকলে খোলা
মনের দুয়ার বন্ধ হলে, সময় যে সব যাবে চলে
লোহার খাঁচার ছোট্ট ঘরে
কোন পাখি কি আর রয় ?

আট কুঠুরি নয় দরজা, সে তো খোলার নয় ……

তোমার আমার এই পরিচয়
সত্যি হবার নয়।

বাংলাদেশ

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

যখন কিশোরীর হাতে সূতোয় বোনা সবুজ গ্রাম
যখন রং তুলিতে আঁকা বাংলার মুখ অবিরাম
যখন গাই এখানেই শুধু শরতের রং এ হয় শেষ
সেই শুভ্র কাঁশফুল ঘিরে দেখে যাই সবুজের দেশ

মেঘে মেঘে, কিছু ভেজা পাখির দল
মেঘ হারিয়ে, নীল ছাড়িয়ে, খুঁজে ফেরে বাংলাদেশ
যেখানে লাল সূর্যের রংয়ে রাজপথে মিছিল
যেখানে কুয়াশার চাঁদর আকাশ থাকে নীল
যেখানে রিম ঝিম বৃষ্টি শুকনো মাটির টানে
অবিরাম ঝড়ে সবুজ সাজায় ……

মেঘে মেঘে, কিছু ভেজা পাখির দল
মেঘ হারিয়ে, নীল ছাড়িয়ে, খুঁজে ফেরে বাংলাদেশ

যখন এক চোখে ঘুম ঘুম, এক চোখে নীল রাত
আমায় ভাবিয়ে যায়
যখন এক হাতে রোদ্দুর এক হাতে গোলাপ
সবুজ ছুঁয়ে ভাবায় আমায়
একদিকে নীল নীল, এক দিকে কাঁশফুল, দু’চোখ যেখানে শেষ
এক প্রান্তে সবুজ, এক প্রান্তে লাল,
আমার বাংলাদেশ ……

নদী

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

গাঁয়ের পাশে ছোট্ট নদী,
স্বপ্ন মাঝে হারাই যদি,
সেই নদীটা ছন্দে হাসে
নিরবধি,
ভালবাসে।

ভরা গাঙ্গে ভরা নাঁওয়ে
মাতাল চিরন্তন
সত্যমতে পাপের খেলায়
অবাধ আগমন।

মনে মনে ভীষণ খেলা
কথার ফাকে মনের মেলা,
সেই মনেতে ছন্দে হাসে
নিরবধি।
ভালবাসে।

দিনে রাতে
নদীর বুকে
কালের দীর্ঘশ্বাস
সরল দেহে
জলের ধারা বহে বার মাস।

আমার নদী আমার রইল
অচীন অথই ঢেউ,
পাষাণ সময় স্রোতের তোড়ে
ভাসল না ত কেঊ।
জলে জলে ঢেউ এর মাতম
আকাশ পানে মেঘের কথন,
সেই মেঘেরা ছন্দে হাসে
নিরবধি,
ভালবাসে।

হাসিমুখ

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

প্রতিটি রাস্তায় প্রতিটি জানালায়
হাসিমুখ, হাসিমুখে আনন্দধারা।
তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেঁটে যাই,
হেঁটে হেঁটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই।

রোদ উঠে গেছে তোমাদের নগরীতে
আলো এসে থেমে গেছে তোমাদের জানালায়,
আনন্দ হাসিমুখ, চেনা চেনা সবখানে
এরই মাঝে চল মোরা হারিয়ে যাই।
তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেঁটে যাই,
হেঁটে হেঁটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই।

হারিয়ে যেতে চাই, তোমাদের রাস্তায়,
হারিয়ে যেতে চাই, তোমাদের রাস্তায়,
অনেক অজানা ভীড়ে স্বচ্ছ নিরবতায়,
রোদ উঠে, গেছে চেনা এই নগরীতে-
নাগরিক জানালা
হাসিমুখে একাকার।
আনন্দ উৎসব চেনাচেনা সবখানে,
এরই মাঝে আমাদের ছুটে যাওয়া দরকার।

তুমি চেয়ে আছ তাই, আমি পথে হেঁটে যাই,
হেঁটে হেঁটে বহুদূর, বহুদূর যেতে চাই।

Download this music   

বুলেট কিংবা কবিতা

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

নিয়ন আলোর রাজপথে টিএসসির মোড়ে চায়ের দোকানে
বুলেট কিংবা কবিতায়, যদি ফেরার পথে ভুল হয়ে যায়……
মাঝে মাঝে সবুজ পতাকা, দু’হাতের মাঝে বন্দী
অজস্র কবিতায় আর গানে, জ্বলে জ্বলে নিঃশেষ
কবি আর কবিতা রাজপথ ছুঁয়ে যায়
কতশত কবি এমনই এক টিএসসির মোড়ে
প্রতিরাতের উদাস চাঁদ দেয়াল লেখা থেকে দুঃখ কেনে
যদি ফেরার পথে ভুল হয়ে যায়
অসময়ে, অন্ধকারে, দেয়াল জুড়ে বর্ণমালার মিছিল,
ক্লান্ত করুণ চোখে ……

শ্লোগান শ্লোগান আর মিছিলের নগরে, টিএসসির নিঃশ্বাস
বুলেট কিংবা কবিতার খাতায়, কবি আর কবিতার খুন হওয়ার আশ্বাস
দেয়াল লেখা থেকে বর্ণমালা যদি আলোর মিছিল হয়ে যায়
টিএসসির মোড়, রাতের রাজপথ বুলেট কিংবা কবিতায়
যদি ফেরার পথে ভুল হয়ে যায় ……

মৃত কবিদের কবিতার আসরে, ছবি হয়ে থাকেনা রাতের রাজপথ
পল্টন ময়দান, টিএসসির মোড়, জনসমাবেশ আর বিশাল অবরোধ
এই অবসরে দেয়াল লেখা যদি মানচিত্র হয়ে যায়
অজস্র কবিতার জনসমাবেশ থেকে বুলেট কিংবা কবিতায়
যদি ফেরার পথে ভুল হয়ে যায় …..

সূর্য

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

অচিন পাখি দিল ফাঁকি, উদাস বাউল কাকে ডাকি
জলের মাঝে জীবনগুলো, তেপান্তরের পাথর ধুলো
সাগর তীরের জীবন দেয়াল,
সূর্যটাকে রাখিস খেয়াল ……

গাছের চূড়ায় নতুন শহর, নদী পানি ফুলের বহর
সময় কাঁটা আতশবাজি, কাঁটাতারে বৃক্ষরাজি
স্বপ্ন দহণ পূণ্য না সয়
সত্যবচন ধর্মে না রয় ……

কথার মাঝে নোনা দেয়াল
সূর্যটাকে রাখিস খেয়াল ……

কল্প সাধন মাতাল হাওয়া, আপন পথে হারিয়ে যাওয়া
জীবন দেখার অবাক টানে, সরল রেখার অন্য মানে
তোমার আমার কাঁচের দেয়াল
সূর্যটাকে রাখিস খেয়াল …..

একা

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

রাত্রি ক্লান্ত জীর্ন শীর্ন আঁধো চাঁদের আলো
পিচ ঢালা পথ কখনো ধূসর কখনও বা কালো

সারাটা পথ জুড়ে আমি একা
হেটে যাই আকাশ তারার পানে চেয়ে
নীল জোছনায় স্মৃতিরো ভীড়ে
হারিয়ে যায় মন আধারে।

আধাঁর রাতে নেমে আসে শিশিরের ছায়া
নিভে গেছে দূর কোন স্মৃতিরও মায়া
নিঃসীম চারপাশ কোনো সাড়া নেই
তবু এক দীপ্তি রয়ে গেছে…..

যত দূরে যেতে চাই নিলীমার পথে
আরো দূরে সরে যায় রাতের আকাশে
চুপচাপ শহরে নিশ্বাস ফেলে আসি
এই নিরব বাতাসে …….

সহসা দ্বীপ

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

মনে পড়ে …… পড়ে না
মনে পড়ে …… পড়ে না
সহসা চলে যাই, উদাস স্মৃতির কাব্য ছুঁয়ে,
ছুটে চলা, অবাক জল রাশির সীমানায়
সহসা দ্বীপ ……

ধুলোর মিছিলে, মেঘ ঘন বিকেলে
ক্লান্তি সরিয়ে দেখি, সে
কি বিষ্ময়ে, মনে পড়ে ?
ধুলোর মিছিলে নিঃশ্চুপ বিকেলে
বৃষ্টি নামবে বুঝি
দিগন্ত ছাড়িয়, মনে পড়ে ?
অবাক জলধারার সেই
সহসা দ্বীপ ……

মেঘের আড়ালে, রোদ জ্বলা বিকেলে
স্নিগ্ধ পাখির ঝাকে, সে কি বিষ্ময়ে
মনে পড়ে ?
পূবের আকাশে, সাত রঙা ক্যানভাসে
জেগে থাকা বালি দ্বীপ, এই নীল সাগরে, মনে পড়ে ?

অবাক জলধারার সেই
সহসা দ্বীপ ……….

বাস স্টপেজ

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

নার্সারি ছাড়িয়ে, চৌরাস্তার মোড়ে
বাস স্টপেজ…… ফুলস্টপ হয়ে দাঁড়িয়ে
বুকে জমা পোষ্টার- আর্ট গ্যালারির মতো উদাসীন
বখাটে কারো সেল নাম্বার- বিজ্ঞাপন হয়ে বিব্রত

কড়া পারফিউম অযথা সুবাস বাতাসে
ক্লান্তিহীন ছুটছে কিছু বিরতিহীন বাস
চকচকে পিচে বেরসিক বৃষ্টি নাম লিখে গেছে
সন্ধানী হকার খুঁজে বেড়ায় গাড়ীযাত্রী কোনো হাসিমুখ
এই সন্ধায়, রাস্তায়, দাঁড়িয়ে আছে
কিছু স্বপ্ন বিক্রি করে যারা
জানলোনা কিছুতেই, ঝুলছে আকাশভরা তারা ।।
কিশোরীর হাতে ফুলের সুবাস, ছুঁয়ে দিতে চায় চকচকে গ্লাস
বৃষ্টির ছাঁটে ভেজা পলিথিন, মিরপুর যাবে বিরতিহীন
বিবর্ণ ঠোঁটে সাইনবোর্ড হাসি, বলছে প্রেমিকা “তোমায় ভালবাসি”
চাক্ষুস সাক্ষী রাস্তার মোড়ে, নার্সারি ছারিয়ে একটু দূরে

বিজ্ঞাপন হয় এক্স সুন্দরী
বাস স্টপেজে আসে ইচ্ছে ঘুড়ি
বিক্রি হয় কতো কমিক কমিক সিরিজ
উদাস বিজ্ঞাপনে কাঁটে পণ্য রিলিজ
এই সন্ধায়, রাস্তায়, দাঁড়িয়ে আছে
কিছু স্বপ্ন বিক্রি করে যারা
জানলোনা কিছুতেই, ঝুলছে আকাশভরা তারা ।

মুঠোফোন

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

ব্যস্ত দিনের শেষে
তোমার প্রিয় মুখ।
তোমার ভাবনা
শব্দময় যখন,
আশ্রয় আমার রাজ্যের ব্যস্ততা।
নিয়ন আলোয় স্বাগতম, মুঠোফোন।
একে একে সব,
তোমার কলরব,
তোমার কন্ঠ শব্দময় যখন,
ভাবনার রাস্তায় সবুজ সিগনাল জ্বেলে
সংকেত।

আশ্বাস চাই অজস্র সংলাপ যখন তখন,
ভালোবাসায় আজ শব্দের নিঃশ্বাসে বেঁচে থাকা মুঠোফোন।
wap service খুঁজে মুঠোফোনে চলে যাক,
ভালবাসার উপহার।
মুঠোফোনে শুনে যাই রিমঝিম রিমঝিম
কন্ঠ তোমার।

একে একে সব,
তোমার কলরব,
তোমার কন্ঠ শব্দময় যখন,
ভাবনার রাজপথে সবুজ সিগনাল জ্বেলে সংকেত।

যদিও দীর্ঘদিন
আবার নতুন করে
তোমার মুঠোফোন
অবিরাম অবসরে,
ভাবনা আমার ছুটছে তোমার আশে পাশে,
পৌঁছে দেবে অক্লান্ত মুঠোফোন।

গোধূলী

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

দিগন্ত জুড়ে নিলীমা মাঝে
পলাতক সময় করে পরিহাস
স্তব্ধ নিঃশ্বাস দূরে ঠেলে
আসি আমি ফিরে বারে বার।
ছুঁয়ে যাই আবারও হারাই
একই আকাশের গোধূলীতে।
অনন্ত পতন, অনন্ত সময়
একই ভাঙ্গনের কথা একই পথ,
আমারই জন্য সহস্র সূর্য
দেবে একই আলো চিরকাল।
ছুঁয়ে যাই আবারও হারাই
একই আকাশের গোধূলীতে।
আমি বুঝিনা কেন,
একই মাটিতে কেন এত রক্তের রং খেলা।
আমি জানিনা কেন,
একই মানুষের একই স্পর্শে কেন এত ছোঁয়া।
আমি জড়িয়ে যাই এ মায়াজালে,
পরাধীনতার এ বাঁধন,
তবু যেতে চাই স্বপ্নের আলোয়,
সকল বাঁধা ভেঙ্গে আলো-ছায়ায়।

প্রান্তর

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

ছেলেবেলায় ……
ফেলে আসা দীর্ঘশ্বাস
অকারণে কথা বলা
আমার পথচলা

সেই কবেকার হারিয়ে যাওয়া
ঘুড়ি সূতোয় ছন্দমাখা
ছেলেবেলা

দেখি ……
এ খোলা প্রান্তরে
স্বপ্ন আমারই ভেসে যায়
দু’চোখে ……

স্বপ্ন দেখার একদিন
স্মৃতির মিছিল নিয়ে এই অবেলায়
গল্প বলার কোনদিন
পুরনো সংলাপে অনেক অজানায়

ছেলেবেলায় ……
ফেলে আসা পথ ধরে
অকারণে কথা বলা
অকারণে পথ চলা

সেই কবেকার দুপুরবেলা
চুপিচুপি ঘুম পালানো
ছেলেবেলা।

বন্ধ জানালা

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

আরেকবার যেতে চাই রিম ঝিম ঝিম সুদূরপুর
অবাক রোদ ভেজা তপ্ত দুপুর
আরেকবার তোমাদের লাল, নীল রং আনন্দে
একলা রাস্তায় এক চিলতে রোদ্দুর।
সারা বেলা বন্ধ জানালা ……


যদি তোমাদের অনেক শব্দ, আমার জানালায়
ছোট ছোট আনন্দের স্পর্শে, আঙ্গুল রেখে যায়
যদি সহস্র শব্দের উৎসব থেমে যায়
সারা বেলা বন্ধ জানালা ……

যদি তোমাদের লাল নীল গল্প আমার শরীরে,
কোন একলা রাস্তায় অবাক ভ্রমণে
যদি ইচ্ছের নীল রং আকাশ ছুঁয়ে যায়
সারা বেলা বন্ধ জানালা ……

ভালোবাসা মেঘ

ব্যান্ড : শিরোনামহীন

মেঘ ঝড়ে ঝড়ে বৃষ্টি নামে
বৃষ্টির নাম জল হয়ে যায়,
জল উড়ে উড়ে আকাশের গায়ে
ভালবাসা নিয়ে বৃষ্টি সাজায়।

ইচ্ছে গুলো ভবঘুরে হয়ে
চেনা অচেনা হিসেব মেলায়,
ভালবাসা তাই ভিজে একাকার
ভেজা মন থাকে রোদের আশায়।

ইচ্ছে হলে ভালবাসিস না হয় থাকিস
যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল।

চুপি চুপি রোদ, উঁচু নীচু মেঘ, সারি সারি গাড়ি
দূরে দূরে বাড়ি……
নিভু নিভু আলো, চুপ চাপ সব কনকনে শীত
ছম ছমে ভয়……
সংলাপ সব পড়ে থাক, বৃষ্টিতে মন ভিজে যাক
ভালবাসা মেঘ হয়ে যাক।

ঘুরে ঘুরে যদি দূরে দূরে তবু
মেঘে মেঘে থাক ভালবাসা,
ইচ্ছে হলে ভালবাসিস না হয় থাকিস
যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল।

মেঘ ঝড়ে ঝড়ে …… জল উড়ে উড়ে …..
ভালবাসা তাই …… ভেজা মন থাক …..

ঝিরি ঝিরি হাওয়া কৃষ্ণচূড়ায়, লাল লাল ফুলে,
ছুটে ছুটে চলা ……
আধো আলো ছায়া, গুণ গুণ গাওয়া
পুরনো দিনের গল্প বলা ……
সংলাপ সব পড়ে থাকে, বৃষ্টিতে মন ভিজে যাক
ভালবাসা মেঘ হয়ে থাক।

ঘরে ফেরা পথে নিরবে নিভৃতে
মেঘে মেঘে থাক ভালবাসা,
ইচ্ছে হলে ভালবাসিস না হয় থাকিস
যেমন থাকে স্নিগ্ধ গাংচিল।

ট্রেন

ব্যান্ড : শিরোনামহীন | Shironamhin

কিছুটা জেনে কিছুটা না জেনে
আঁধার নামা পুরনো শহরে
প্ল্যাটফর্ম ছুয়ে ক্লান্ত দেহে
অভিমানী পদচিহ্ন রাখে
অভিমানী এক ট্রেনে
করিডর ধরে হেঁটে যায়
একা একা স্বপ্ন অচেনা

লোকে বলে বলেরে

কথা ও সুর : হাছন রাজা | Hasan Raja

লোকে বলে বলেরে
ঘর-বাড়ি ভালা নাই আমার
কি ঘর বানাইমু আমি শূণ্যেরও মাঝার।।
ভালা কইরা ঘর বানাইয়া
কয়দিন থাকমু আর
আয়না দিয়া চাইয়া দেখি
পাকনা চুল আমার।।

হলুদিয়া পাখি সোনারই বরণ

হলুদিয়া পাখি, সোনারই বরণ
পাখিটি ছাড়িল কে
পাখিটি ছাড়িল কে রে আমার
পাখিটি ছাড়িল কে।
কেউ না জানিল, কেউ না দেখিল,
কেমনে পাখি দিয়াছে ফাঁকি
উইড়া গেল হায় চোখের পলকে
পাখিটি ছাড়িল কে।।

শোয়াচান পাখি

শোয়াচান পাখি আমার শোয়াচান পাখি
আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি।

তুমি আমি জনম ভরা
ছিলাম মাখামাখি
আজ কেন হইলে নীরব
মেলো দুটি আঁখি।

7 November 2011

বাঁশি শুনে আর কাজ নাই

কথা : গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার | Gouriprosonno Majumdar
কণ্ঠ : শচীন দেব বর্মন | Shachin Deb Barman

বাঁশি শুনে আর কাজ নাই
সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি
সে যে দিন-দুপুরে চুরি করে
রাত্রিরেতে কথা নাই।।
শ্রবণে বিষ ঢালে শুধু বাঁশি

পরের জায়গা পরের জমি

পরের জায়গা পরের জমি
ঘর বানাইয়া আমি রই
আমি তো এই ঘরের মালিক নই।

ওরে ঘরখানা যার জমিদারি
আমি পাইনা তাহার হুকুমদারী
আমি পাইনা জমিদারের দেখা
পরের দুঃখ কারে কই।

কৃষ্ণ আইলা রাধার কুঞ্জে

কৃষ্ণ আইলা রাধার কুঞ্জে,
ফুলে বাইলা ভোমরা
ময়ুর বেশেতে সাজুইন রাধিকা।

সোয়া চন্দন ফুলের মালা,
সখিগণে লইয়া আইলা
কৃষ্ণ দিলায় রাধার গলে,
বাসর হইল উজালা
বাসর হইল উজালা গো,
বাসর হইলো উজালা।
ময়ুর বেশেতে সাজুইন রাধিকা।

ও সখীনা গেসস কিনা ভুইল্লা আমারে

কথা, সুর ও কণ্ঠ : ফকির আলমগীর | Fakir Alamgir

ও সখীনা গেসস কিনা ভুইল্লা আমারে
আমি অহন রিসকা চালাই ঢাহা শহরে ।

এবার বানে সোনাফলা মাঠ হইল ছারখার
দেশ-গেরামে শেষে নামে আকাল হাহাকার,
আমরা মরি কি আসে যায়
মহাজনে পাওনা টাকায়
বেবাক ফসল তুইলা দিলাম আমরা তাগোর খামারে ।
ও সখীনা গেসস কিনা ভুইল্লা আমারে…..

ও মোর বানিয়া বন্ধু রে

ও মোর বানিয়া বন্ধু রে
একটা তাবিজ বানাইয়া দে।
একটা মাদুলি বানাইয়া দে।
ওরে মরিয়া গিয়াছে
বিয়ার সোয়ামী স্বপনে আইসে।

যে জন সোনার বানিয়া
নীতি করে সোনাকো না মোর
ওজন করিয়া দেয়।
ও মোর সাধের বানিয়া রে
ও মোর ভাবের বানিয়া রে

আমি কেমন করে পত্র লিখি গো বন্ধু

আমি কেমন করে পত্র লিখি গো বন্ধু
গ্রাম পোস্ট অফিস নাই জানা
তোমায় আমি হলেম অচেনা

বন্ধুরে হইতা যদি দেশের দেশী
ঐ চরণে হইতাম দাসীরে
আমি দাসী হইয়া সঙ্গে যাইতাম রে বন্ধু
শুনতামনা কারো মানা

আমার সোনার ময়না পাখি

কথা ও সুর : মোহাম্মদ ওসমান খান | Mohammad Osman Khan
কণ্ঠ :  নীনা হামিদ | Nina Hamid

আমার সোনার ময়না পাখি
কোন দেশেতে গেলা উইড়া রে
দিয়া মোরে ফাঁকি রে
আমার সোনার ময়না পাখি ।

আমার গায়ে যত দুঃখ সয়

কণ্ঠ :  বারী সিদ্দিকী | Bari Siddiqi

আমার গায়ে যত দুঃখ সয়
বন্ধুয়া রে করো তোমার মনে যাহা লয়।।
নিঠুর বন্ধু রে, বলেছিলে আমার হবে
মন দিয়াছি এই ভেবে
সাক্ষী কেউ ছিলনা সেসময়।
সাক্ষী শুধু চন্দ্র-তারা,
একদিন তুমি পড়বে ধরা রে বন্ধু
ত্রিভুবনের বিচার যেদিন হয়।।

হয়তো তোমারি জন্য

কণ্ঠ :  মান্না দে | Manna Dey

হয়তো তোমারি জন্য
হয়েছি প্রেমে যে বন্য
জানি তুমি অনন্য
আশার হাত বাড়াই
যদি কখনো এ প্রান্তে
চেয়েছি তোমায় জানতে
শুরু থেকে শেষ প্রান্তে
শুধু ছুটে গেছি তাই

সোনাই হায় হায়রে (কেহ লইলো আতর লোবান)

চলচ্চিত্র : মনপুরা | Monpura
কণ্ঠ :  ফজলুর রহমান বাবু | Fazlur Rahman Babu
কথা: গিয়াস উদ্দিন সেলিম | Giyas Uddin Selim

কেহ লইলো আতর লোবান
কেহ লইলো জল
কেহ লইলো বরই পাতা
কেহ লইলো পরীরে
সোনাই হায় হায়রে
সোনাই হায় হায়রে ।

সোনার পালঙ্কের ঘরে

চলচ্চিত্র : মনপুরা | Monpura
কণ্ঠ : কৃষ্ণকলি | Krishnokoli

সোনার পালঙ্কের ঘরে, লিখে রেখে ছিলেম দ্বারে,
যাও পাখি বলো তারে, সে যেন ভোলে না মোরে,
সুখে থেকো ভালো থেকো, মনে রেখো এ আমারে…

বুকের ভেতর নোনা ব্যাথা, চোখে আমার ঝরে কথা,
এপার ওপার কোন পার একা
যাও পাখি বলো তারে সে যেন ভোলে না মোরে,
সুখে থেকো ভালো থেকো মনে রেখো এ আমারে…

সব সখিরে পার করিতে নেব আনা আনা

চলচ্চিত্র : সুজন সখি | Sujon Sokhi
কণ্ঠ : এন্ড্রু কিশোর ও সাবিনা ইয়াসমিন | Andrew Kishore & Sabina Yasmin

সব সখিরে পার করিতে নেব আনা আনা
তোমার বেলায় নেব সখি তোমার কানের সোনা
সখি গো, আমি প্রেমের ঘাটের মাঝি
তোমার কাছে পয়সা নিব না

ও সুজন সখিরে
প্রেমের ঘাটে পারাপারে দরাদরি নাই
মনের বদল মন দিতে হয়

শুধু গান গেয়ে পরিচয়

কণ্ঠ : সাবিনা ইয়াসমিন | Sabina Yasmin

শুধু গান গেয়ে পরিচয়
শুধু গান গেয়ে পরিচয়
চলার পথে ক্ষনিক দেখা
একি শুধু অভিনয়

যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে

কণ্ঠ : খালিদ হাসান মিলু | Khalid Hasan Milu

যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে
জীবনে অমর হয়ে রয়।।
সেই প্রেম আমাকে দিও
জেনে নিও
তুমি আমার প্রানের চেয়ে প্রিয়।

মোর স্বপনের সাথী তুমি কাছে এসো

কণ্ঠ : কিশোর কুমার | Kishore Kumar

মোর স্বপনের সাথী তুমি কাছে এসো
আজ ঋতু ফাল্গুনে কভু দূরে থাকো
বৃথা যায় দিন জানি তুমি আসনাতো
এসো গো এসো গো…

মানুষ মানুষের জন্য

কণ্ঠ : ভূপেন হাজারিকা | Bhupen Hajarika

মানুষ মানুষের জন্য
জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভূতি কি
মানুষ পেতে পারে না…ও বন্ধু।।
মানুষ মানুষকে পণ্য করে,
মানুষ মানুষকে জীবিকা করে,
পুরোনো ইতিহাস ফিরে এলে
লজ্জা কি তুমি পাবে না…ও বন্ধু।।

ভালোবাসবো বাসবো রে বন্ধু তোমায় যতনে

কণ্ঠ : হাবিব ওয়াহিদ | Habib Wahid

ভালোবাসবো বাসবো রে বন্ধু তোমায় যতনে
আমার মনের ঘরে চাঁদের আলো চুইয়া চুইয়া পড়ে
পুষে রাখবো রাখবো রে বন্ধু তোমায় যতনে

দুধে আলতা গায়ের বরণ রূপ যে কাঁঞ্চা সোনা
আচল দিয়া ঢাইকা রাইখো চোখ যেন পড়ে না
আমি প্রথম দেখে পাগল হইলাম
মন যে আর মানে না
কাছে আইসো বন্ধু প্রেমের কারণে
ভালোবাইসো রে বন্ধু আমায় যতনে

বাহিরে বলে দূরে থাকুক

চলচ্চিত্র : থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার | Third Person Singular Number
কণ্ঠ : হাবিব ওয়াহিদ, ন্যান্সি | Habib Wahid & Nancy

বাহির বলে দূরে থাকুক
ভিতর বলে আসুকনা
ভিতর বলে দূরে থাকুক
বাহিরে বলে আসুকনা

পড়েনা চোখের পলক

কণ্ঠ : এন্ড্রু কিশোর | Andrew Kishore

পড়েনা চোখের পলক
কি তোমার রূপের ঝলক
দোহাই লাগে মুখটি তোমার
একটু আঁচলে ঢাকো
আমি জ্ঞান হারাবো
মরেই যাবো
বাঁচাতে পারবেনাকো

পিচ ঢালা এই পথটারে ভালোবেসেছি

কণ্ঠ : আব্দুল জব্বার | Abdul Jabbar

পিচ ঢালা এই পথটারে ভালোবেসেছি
তার সাথে এই মনটারে বেঁধে নিয়েছি
রঙ ভরা এই শহরে যতই দেখেছি
গোলক ধাঁধার চক্করে ততই পড়েছি।।
সারি সারি জনতার এই যে ভীড়ে
কেউ তো কারো পানে দেখো চায় না ফিরে
তাইতো আমি ভাই এই ভাবটাকে চালাই
এপার ওপার করে শুধু পালিয়ে বেড়াই।

পথের ক্লান্তি ভুলে

চলচ্চিত্র : মরুতীর্থ হিংলাজ | Morutirtho Hinglaj
সুর ও কণ্ঠ : হেমন্ত মুখোপাধ্যায় | Hemonto Mukhopadday

পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহ ভরা কোলে তব
মাগো, বলো কবে শিতল হবো |
কত দূর আর কত দূর বল মা?
আঁধারের ভ্রুকুটিতে ভয় নাই,
মাগো তোমার চরণে জানি পাবো ঠাঁই,
যদি এ পথ চলিতে কাঁটা বেঁধে পায়
হাসিমুখে সে বেদনা সবো ||

Contact